সরকার নির্ধারিত বাসের নতুন ভাড়া নেওয়াতে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা ঠেকাতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করছে বিআরটিএ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হচ্ছে। বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নতুন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা দেখছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
যাত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিমরা। এছাড়া নতুন এই তালিকা ঠিকমতো রাখা হয়েছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, গাড়ি সিএনজি নাকি ডিজেল চালিত তা লেখা রয়েছে কি না সে বিষয়টাও অভিযানে দেখছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যারা এসব নিয়ম মানছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
দুপুর পর্যন্ত শাহবাগ ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এলাকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় পাঁচটি বাসকে জরিমানা করা হয়।
বিআরটিএর নির্বাহী হাকিম জানান, মূলত ভাড়ার তালিকা টানানো হয়েছে কি না, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিচ্ছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। সেই গ্যাসে চালিত বাসে ডিজেল চালিত বাসের মতো বেশি ভাড়া নিচ্ছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম পাওয়া গেলেই জরিমানা করা হচ্ছে।
এদিকে মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিআরটিএ এর সঙ্গে তারাও যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন। এই অভিযান চলতে থাকতে।
বৃহস্পতিবার থেকে এই অভিযান আরো জোরদার হবে। অভিযানে ঢাকা মহানগরীতে ১১টি দল থাকবে। প্রতিটি দলে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এর মধ্যে বিআরটিএ এর নির্বাহী হাকিম ৯ জন, বাকি দুই জন ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী হাকিম।
এছাড়া বাস ভাড়া কীভাবে নেয়া হচ্ছে তা তদারকি করতে ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে।
কমিটির সদস্যরা রাস্তায় ও টার্মিনালে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি তদারকি করবেন। পাশাপাশি কমিটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযানেও সহায়তা করবে বলে বলা হয়েছে।
এদিকে, বিআরটিএ ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হবার পর রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যেতে শুরু করে। এতে করে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে কর্মজীবী ও পথের মানুষরা।
উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে সারাদেশে তিনদিন পরিবহন ধর্মঘট পালন করে পরিবহন মালিক সংগঠনগুলো।