কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে আট যাত্রী।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের খামারদামার হাট এলাকার মাঝের চরের কাছে তিস্তা নদীতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান এবং উলিপুর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মহুবর রহমান বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার দিকে নদীতে হঠাৎ ঝোড়ো বাতাসে নৌকাটি ডুবে যায়। কাছে থাকা একটি ছোট নৌকা কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করলেও তীব্র স্রোতে বেশ কয়েকজন ভাটির দিকে ভেসে যায় বলে জানতে পেরেছি। তারা শেষ পর্যন্ত তীরে উঠতে পারছেন কি না তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না।’
এই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘শুনেছি যাত্রীরা পুরান বজরা বাজার এলাকা থেকে নৌকাযোগে রংপুরের পীরগঞ্জের পাওটানা গাবুরারচর এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় আমার ওয়ার্ডের খামারদামার হাট মাঝের চরের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়।’
নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া আনোয়ার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা বজরা থেকে দাওয়াত খেয়ে গাবুরারচরে ফিরছিলাম। নৌকায় শিশুসহ ২৫/২৬ জন ছিলাম। এ সময় নদীতে একটি বড় ঢেউ ওঠে। মাঝি ওই ঢেউয়ের মধ্যে হঠাৎ নৌকা ঘুরানোর চেষ্টা করলে নৌকা ডুবে যায়। অনেকে উদ্ধার হলেও এখনও ৬/৭ জন নিখোঁজ আছে।’
উলিপুর থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) এক শিশুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিখোঁজদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
তিস্তা নদীর ঘটনাস্থল থেকে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনার পর ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর লাশ রয়েছে। জীবিত উদ্ধার যাত্রীদের মধ্যে চার জনকে আহত অবস্থায় উলিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকায় থাকা যাত্রীদের তথ্য মতে এখনও আট জন যাত্রী নিখোঁজ আছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে অনুসন্ধান করছেন।’