আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, রাত ০৩:১০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল ও ভারতের দার্জিলিংয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নেপালে গতকাল রোববার পর্যন্ত অন্তত ৪৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে দার্জিলিংয়ে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নেপাল সরকার জানিয়েছে, বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অনেক জায়গার পথঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি সেতু ভেসে গেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী ইলাম বিভাগেই ভূমিধসে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির আর্মড পুলিশের মুখপাত্র কালিদাস ধাবোজি। দেশের অন্যান্য জায়গায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন ৯ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র শান্তি মাহাত বলেছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অপরদিকে নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২০ জন। এএফপি স্থানীয় আইনপ্রণেতা হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বরাতে জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বেশির ভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
পশ্চিমবঙ্গের এ পার্বত্য জেলায় শনিবার রাতে ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বা ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সেখানকার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানকার বেশ কয়েকটি সেতু বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রোববার রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ ব্যাপক বৃষ্টি এবং নদীর পানির অতিরিক্ত স্রোতের কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির প্রবল স্রোতে দুটি লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে, বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে গেছে। সঙ্গে সেখানকার বড় একটি অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষাকালে বন্যা ও ভূমিধস একটি সাধারণ ঘটনা হলেও জলবায়ু পরিবর্তন এবং অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বর্তমানে ‍এগুলো  তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied