আর্কাইভ  শনিবার ● ৩ মে ২০২৫ ● ২০ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ৩ মে ২০২৫

লালমনিরহাটে হঠাৎ বেড়েছে তিস্তার পানি

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  বর্ষায় খরস্রোতা তিস্তাকে শুষ্ক মৌসুমে চেনাই যায় না। পানি শুকিয়ে নদীর লালমনিরহাট অংশ এখন মৃতপ্রায়। বর্ষায় খরস্রোতা তিস্তাকে শুষ্ক মৌসুমে চেনাই যায় না। পানি শুকিয়ে নদীর লালমনিরহাট অংশ এখন মৃতপ্রায়। কয়েক দিন আগেও যে তিস্তা ছিল পানিশূন্য এখন তা পরিপূর্ণ। গতকাল বেলা ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এ অবস্থায় ব্যারাজের ছয়টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় নিমেষেই তলিয়ে যাচ্ছে জেগে থাকা বালুচর। এতে তিস্তাপাড়ের কৃষক ফসল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। জেগে ওঠা বালুচরের রসুন, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল-বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

তিস্তাপাড়ের কৃষকরা বলছেন, তিস্তার পানি নিয়ে আমরা যখন আন্দোলন করতে যাচ্ছি ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে। এটা ভারতের চাল। কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না। বিকাল থেকে হঠাৎ পানি বাগতে শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকার চরগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তিস্তার জেগে ওঠা চরে রসুন, পোঁয়াজসহ কিছু ফসল রয়েছে। ভারত এভাবে পানি ছাড়লে ফসলগুলো ডুবে যাবে।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বাড়ছে। কি পরিমাণ পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিগত দিনেও দেখেছি শুষ্ক মৌসুমে ভারত হঠাৎ করে পানি ছেড়ে দিয়ে চরাঞ্চলের ফসলের ক্ষতি করেছে। ২০২২ সালের মার্চে হঠাৎ তিস্তার পানি ছেড়ে দেয়ায় পেঁয়াজ, কুমড়া, রসুন ও বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। হঠাৎ করে পানি বাড়ার খবরে আমি শঙ্কিত। যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি বাড়ার প্রবণতা সব সময় থাকে তাহলে তিস্তা নদী বেঁচে যেত। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ না করে এখনই ইতিবাচক বলতে পারছি না।’

মন্তব্য করুন


Link copied