আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, রাত ০৮:৩২

Advertisement Advertisement

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
 
রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে নতুন পাড়া সচেতন গ্রামবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা কাছে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন গ্রামবাসীরা।
 
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে গ্রামবাসীরা জানান,
সম্প্রতি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের কথা শুনে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন।
 
মূলত ১৯৯২ সালের দিকে আবুল বাশারসহ কয়েকজন ব্যক্তির নেতৃত্বে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে তা ইবতেদায়ী থেকে দাখিল মাদ্রাসায় রূপান্তর করা হয় এবং ২০০২ সালে ওই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। তবে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ দাখিল মাদ্রাসার অন্তর্ভুক্ত হলেও কাগজে-কলমে এটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে রয়েছে। কিন্তু নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক নেই, এমনকি কোনো নির্ধারিত জায়গাও নেই। 
 
গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন জানান, ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে এলাকায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। 
 
একই গ্রামের জহিরুল ইসলাম বলেন, কতিপয় ব্যক্তি সম্পূর্ণ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এই অস্তিত্বহীন মাদ্রাসাটিকে জাতীয়করণের জন্য আবেদন করেছেন। এটি শুধু বেআইনি নয়, বরং সরকারি সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধার চরম অপব্যবহার।
 
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, এই নামে এলাকায় কোনো মাদ্রাসা নেই। হঠাৎ করে জাতীয়করণের কথা শুনে কয়েকজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এই মাদ্রাসাটিকে জাতীয়করণের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
 
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বলেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

মন্তব্য করুন


Link copied