আর্কাইভ  শনিবার ● ১০ মে ২০২৫ ● ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ১০ মে ২০২৫
ভারতশাসিত কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট, জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

ভারতশাসিত কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট, জম্মু বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ভারত

ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ভারত

পাকিস্তানে ভারতের হামলার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন?

পাকিস্তানে ভারতের হামলার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন?

সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহ’র জরুরি বৈঠক

সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহ’র জরুরি বৈঠক

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া চীনের

রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, রাত ০৮:৪৭

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কাজ করার আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি বহুল আলোচিত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়েও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে চীন।

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। 

তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ৫০টি চমৎকার বছর অতিক্রম করেছি। আগামী ৫০ বছর কেমন করে আমরা আমাদের দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলব তার একটি শক্ত ভিত্তি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৈরি করে দিয়েছেন। তার একটি দিক হচ্ছে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং অন্য দিকটা হচ্ছে শিল্পায়ন। 

খলিলুর রহমান আরও বলেন, এই দুটি স্তম্ভ তারা শক্ত করে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন। এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছে দুই দেশের মানুষের। তার একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক।

প্রধান উপদেষ্টার এই হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে চীন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বর্তমানে চীনে পড়াশোনা করছেন। যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। 

এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সফরে গত ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান। সেদিন বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয় দেশটির সরকার। পরদিন ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এদিন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পরে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে অংশ নেন ড. ইউনূস। একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা ও যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব–এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ ছাড়া ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াং, চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) চেয়ারম্যান বান কি-মুন সাক্ষাৎ করেন।

চার দিনের সরকারি সফর শেষে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মন্তব্য করুন


Link copied