নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ আ:লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে বিক্ষোভে নেমেছিল ছাত্র-জনতা। যার দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে মহাসড়ক ছেড়েছেন তারা। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় এ বিক্ষোভ করা হয়।
দেখা গেছে, প্রথমে প্রায়-৫০-৬০ জন ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ নামেন। পরবর্তীতে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীদের জনবল বেড়ে স্বৈরাচার বিদায়ী দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে মহাসড়কের ঢাকামুখী দূরপাল্লা ও আঞ্চলিক উভয়ে লেনে সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অসুস্থ রোগী ও শিশু বাচ্চাদের।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র শিবিরের সভাপতি আমিত হাসান বলেন, আমাদের এই বিক্ষোভ সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে; আমরা আন্দোলন চলমান রাখব। আজকের জন্য আমরা সড়ক ছেড়েছি। আগামীকাল আমাদের ঢাকায় কর্মসূচি রয়েছে।
খালিদ নামের আরেকজন বলে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতেই হবে। এটা আমাদের গণদাবি। আমরা আজ সড়ক ছেড়েছি; তবে আগামীকাল আবারও আমরা মাঠে নামব।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মহাসড়কে ৩ ঘণ্টা অবস্থান নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।