নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথায় আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এসময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাতে ও শনিবার দুপুরে দফায় দফায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আজিজুর (২৭), মিরাজ মোল্যা (৩৫), কামাল হোসেন (২৫), ছায়েম হোসেন (৩৫), সালাম সরদার (৪৭), লোকমান শেখ (৫৫), রেহেনা বেগম (৫০) ও সেতু আক্তারসহ (২০) অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার রাঙ্গারদিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নান্নু মাতুব্বরের সমর্থক উজ্জ্বল মোল্যার সঙ্গে জালাল মাতুব্বরের সমর্থক ফারুক মোল্যার আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫-৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফারুক মোল্যা পক্ষের জালাল মাতুব্বর জাগো নিউজকে বলেন, ফারুকের ছেলে হুজাইফা মোল্যার (৭) আকিকা ছিল। আকিকা উপলক্ষে খাসি জবাই করা হয়। পরে সেই মাংস বাড়িসহ আশপাশের লোকজনদের মাঝে বণ্টন করা হয়। বিপক্ষের লোকদের মাংস দেওয়ায় উজ্জ্বল মোল্যা মাংস ফেরত দেন। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নান্নু মাতুব্বরের মোবাইলে যোগাযোগ করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু জাগো নিউজকে বলেন, মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আকিকার মাংস নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতে ও সকালে রাঙ্গারদিয়া গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।