নিউজ ডেস্ক: শনিবার (৭ জুন) সকালে মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। পরে পশু কোরবানি শুরু করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশ নেন।
দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, চার হাজার বছর আগে মুসলমানদের আদি পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হন সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার। আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে তার প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দেন। এরপর হজরত ইব্রাহিম তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। এর মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করেন। এসময় আল্লাহর নির্দেশে ইসমাইলের বদলে সেখানে একটি দুম্বা কোরবানি হয়।
ঈদের পরের দু’দিনও পশু কোরবানি করার সুযোগ আছে। আগামী সোমবার আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। কোরবানির পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ বিলিয়ে দিতে হয় গরিব-মিসকিনকে। আত্মীয়দের দিতে হবে এক ভাগ।
এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয়েছে গত ৫ জুন। সরকারি চাকরিজীবীরা আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি উপভোগ করবেন।