নিউজ ডেস্ক: এ যেন এক নয়া জামানার ডাক, নতুন কেতন নতুন চেতনে ঘুরে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশ। ক্রিকেটের ঝিমিয়ে পড়ার দিনে ঘরের চালে টুপটাপ বৃষ্টির মতো স্নিগ্ধতা নিয়ে হাজির হয়েছে ফুটবল। কোমল মিহি সুখের ভেতর লাগছে তুমুল উত্তেজনার টান।
নস্টালজিয়া থেকে যেন স্মৃতির দোদুল ঘোড়া চলে এসেছে ফুটবল মাঠে। হামজা, শোমিত, ফাহামিদুল, কাজেম, তারিক, জামালে আবার নতুন উন্মাদনা জেগেছে সবুজ আর লালে। ছয়জনের বেড়ে ওঠা বিদেশি, তবুও তারা ভুলতে পারেননি দেশের টান, লাল সবুজের ফুটবল ময়দানের তাদের হাত ধরেই উঠছে নতুন স্লোগান। ভুটানকে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী করার পর এশিয়া কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর।
সেই অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। পূর্ণ তিন পয়েন্টে চোখ রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলে সিঙ্গাপুরকে হারানোর লক্ষ্য। বেশ আত্মবিশ্বাসী কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, সবাই অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছে। এই ম্যাচ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভুটানের বিপক্ষে জয়ের কারণে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত বড় ম্যাচ চলে এসেছে। আমরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।
রক্ষণে অদেভ্য থেকে প্রতিপক্ষের জালে লক্ষ্যভেদ করার কৌশল ভালোই জানেন হামজারা। যদিও আক্রমণের ঘাটতিটা এখনও আছে বেশ। আক্রমণে আর পোক্ত হলে, হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ছুটে আসা তরুণ তুর্কিদের দিয়ে দুর্দান্ত কিছুই করকে পারে বাংলাদেশ। আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক জামালও।
তিনি বলেন, এখন আমাদের নিয়ে প্রত্যাশাও অনেক বেশি। ভারতের সঙ্গে ম্যাচের পর এই প্রত্যাশা বেড়েই চলেছে। আমি মনে করি, আমাদের স্বপ্ন এখন অনেক বড়।
এবার মিশন ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা; সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচটিও তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।