মমিনুল ইসলাম রিপন।। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নূরুল হক বলেছেন, বিগত ফ্যাসিবাদি সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন আমরা স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীরা যা লিখবেন, শিক্ষকরা কেবল সেটাই মূল্যায়ন করবেন। অতিরিক্ত বা কম নম্বর দেয়ার সুযোগ থাকবে না।
সোমবার ( ১৬ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর গোমস্তপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের আলিম পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে করতে এবং মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষে রংপুর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ ও সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায়, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) ড. মো: মাহাতাব হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ( পরীক্ষা) মো: আব্দুস সালাম। এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শিক্ষক কর্মচারি ঐক্যজোট রংপুর বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব, কেল্লাবন্দ বহুমুখি সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহা: ইনামুল হক মাজেদী, কুড়িগ্রাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুর বক্ত, তারাগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আব্দুস সালাম প্রমুখ। এসময় রংপুর বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব ও মহানগরীর দাখিল মাদ্রাসার সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু পাসের হার বাড়ানো নয়, বরং গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার্থী তৈরি করা। চেয়ারম্যান মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বোর্ডের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও সিনিয়র মাদরাসাগুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এতোদিন অবহেলিত ছিলো, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরো জানান, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রথা বিলুপ্ত করে সরাসরি নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চালুর চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি এবং এমপিওভুক্তির জন্য প্রণীত নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিএমটিএফ বিএমটিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার কথা জানান। সভায় অংশগ্রহণকারী অধ্যক্ষ ও সুপাররা নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।