রংপুর ।। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন—তৌফিক হাসান, মোক্তাদি কেমি ও জাহাঙ্গীর আলম জাকির। তারা এনসিপির পীরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটির ২৫ সদস্যের মধ্যে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, ’গভীর ভাবনা ও পর্যবেক্ষণের পর আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গঠিত কমিটির প্রক্রিয়া আমাদের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও ন্যায়বোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে আমরা এই কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লিখিত বক্তব্যে তিনি পদত্যাগের ছয়টি প্রধান কারণ তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কমিটিতে বিতর্কিত অতীতের ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন না করে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, আন্দোলনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া নারী সংগঠকদেরও কোনো স্থান দেয়া হয়নি।
পদত্যাগকারী নেতারা বলেন, ‘কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়াটি হয়েছে একক সিদ্ধান্তে এবং পক্ষপাতদুষ্টভাবে। এতে আমাদের বিশ্বাসের জায়গা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জিসান, বিশাল, লেলিন, মেহেদি, শাওন, শুভ, মাহিদ ও আপন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে পীরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় মো. এ এস মজনুকে। এছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় রাকিব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রিজু ও মোদাব্বেরুল ইসলামকে। কমিটিতে আরও ২১ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এই কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস অথবা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত।
পদত্যাগের এই ঘটনা পীরগঞ্জে এনসিপির সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।