নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয় ১৭ বছর বয়সি জুলকার নাইন। সে ছিল ঘরের বড় ছেলে। তাকে হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা হালিমা খাতুন। এখনো খুঁজে ফিরছেন সন্তানকে। অন্যদিকে বাবা আব্দুল হাই শোকে হয়ে পড়েছেন নির্বাক।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাভারের বাইপাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় জুলকার নাইন। সে ছিল সাভারের পলাশবাড়ী এলাকার কে এল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ার নন্দনপুর ইউনিয়নের স্বরূপ গ্রামে।
জুলকার নাইনের মা বলেন, সে বলেছিল ন্যায়ের পক্ষে আমি যদি আবু সাঈদ ও মুগ্ধর মতো শহীদ হতে পারতাম। আল্লাহ যেন তার কথাটিই শুনেছিলেন। ৫ আগস্ট বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার ছোট ছেলে হামজাকে বলেছিল, আমি যদি আর বাসায় না ফিরি তুই মা-বাবাকে দেখিস। সে আন্দোলনের শুরু থেকেই মিছিলে যেত। আর বলত আমার লাভ না হলেও ভবিষ্যতে ছোট ভাই-বোনদের লাভ হবে।
জুলকার নাইনের বাবা হোমিও চিকিৎসক আব্দুল হাই বলেন, আমার ছেলের বুকের বাম পাশে ছাদের উপর থেকে গুলি করা হয়েছিল। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়। ছেলের লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। খবর পেয়ে সেখানকার তৎকালীন স্থানীয় এমপি সাইফুল ইসলামের গুণ্ডারা আমার বাসায় এসে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ছেলের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
আব্দুল হাই আরো বলেন, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ৭ লাখ ও জামায়াতের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। জুলাই শহীদের সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। আমি শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচার চাই।