আর্কাইভ  রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫ ● ২২ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫
ছুটির দিনেও রাজপথ ছিল অগ্নিগর্ভ

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
ছুটির দিনেও রাজপথ ছিল অগ্নিগর্ভ

৭ জুলাই ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
৭ জুলাই ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো

১৯ জুলাই 'মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস' ঘোষণার দাবি

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
১৯ জুলাই 'মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস' ঘোষণার দাবি

হাসিনার মুখে ছিল এক কথা, ভেতরে অন্য চিত্র

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
হাসিনার মুখে ছিল এক কথা, ভেতরে অন্য চিত্র

রংপুর-১
ভোটের হাওয়া

নড়বড়ে জাতীয় পার্টির মাঝে এবার সুযোগের অপেক্ষায় জামায়াত-বিএনপি

শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, রাত ১১:২৮

Ad

নিজস্ব প্রতিবেদক : গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-১ আসন। স্বাধীনতার পর এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী একবার করে জয়লাভ করেন। পরে জাতীয় পার্টির দখলে চলে যায় আসনটি। ১৯৮৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একক আধিপত্য ধরে রাখে জাতীয় পার্টি।

তবে বিগত সময়ের বিতর্কিত দুটি নির্বাচনে (২০১৪ ও ২০১৮) জাতীয় পার্টি জয় পেলেও দলটির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যার প্রমাণ মেলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের শোচনীয় পরাজয় জানিয়ে দেয় সেই নড়বড়ে অবস্থান।

ডামি নির্বাচন খ্যাত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ওই ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় পেলেও বাবলুর ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেননি আসিফ, হারিয়েছেন জামানত। জাতীয় পার্টির অবস্থা এখন ভালো নয়। বিগত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট। তাদের কর্মী-সমর্থকরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং অমুসলিম ভোটারদের একটা হিসাব আছে। সব মিলিয়ে মাঠ পর্যায়ে আমরা ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছি।

আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত মসিউর রহমান রাঙ্গাও প্রায় তিন গুণ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।

স্থানীয় ও বহিরাগত প্রার্থীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার এই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই আসনে এমপি ছিলেন বহিরাগত প্রার্থীরাই। দীর্ঘদিনের দাবির আলোকে ২০২৪ সালে এর ছন্দপতন ঘটে। স্থানীয় হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন তৈরি হয় এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাবলু। তবে ৫ আগস্টের পর পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে লাপাত্তা আসাদুজ্জামান বাবলুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যু সোচ্চার হতে পারে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। সেইসঙ্গে দলের বাইরে গিয়ে যোগ্য কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকেও পাল্লা ভারী হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কোণঠাসা আওয়ামী লীগ, আর নড়বড়ে জাতীয় পার্টির মাঝে এবার সুযোগের অপেক্ষায় জামায়াত-বিএনপি। এই দুই দল ছাড়া অন্য কারও সুযোগ নেই-এমনটাও মনে করেন কেউ কেউ। ৫০ বছর ধরে এ এলাকায় যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই বাইরে থেকে এসেছেন। উন্নয়ন যে একেবারে হয়নি তা নয়। তবে এবারও আমরা চাই যে দলেই নির্বাচন করুক না কেন যেন স্থানীয় প্রার্থীকে মূল্যায়ন করা হয়।

ওই আসনের লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ৫০ বছর ধরে এ এলাকায় যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই বাইরে থেকে এসেছেন। উন্নয়ন যে একেবারে হয়নি তা নয়। তবে এবারও আমরা চাই যে দলই নির্বাচন করুক না কেন স্থানীয় প্রার্থীকে যেন মূল্যায়ন করা হয়।

আলমবিদিতর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সালাম  বলেন, আওয়ামী লীগ তো নেই। জাতীয় পার্টিও নড়বড়ে। এখন ভোট হলে জামায়াত-বিএনপি যুদ্ধ হবে।

তবে দলের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় যোগ্য কেউ নির্বাচন করলে হিসাব পাল্টে যেতে পারেও বলে মনে করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।ভোট থাকলেও জাতীয় পার্টিকে একেবারে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও তাদের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা কোন দিকে যাবেন সেটাও দেখার বিষয়। এছাড়া দলের বাইরে সাধারণ মানুষের একটা ভোট আছে। সাধারণ ভোটাররা যেদিকে যাবেন তার পাল্লা ভারী হবে। তবে দলের বাইরে স্থানীয় যোগ্য কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করলে হিসাব পাল্টে যেতেও পারে। কারণ, এখানে স্থানীয় ও বহিরাগত একটা ইস্যু আছে।

ওই শিক্ষক আরও বলেন, সাধারণ ভোটাররা যেদিকে যাবেন তার পাল্লা ভারী হবে। তবে দলের বাইরে স্থানীয় যোগ্য কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করলে হিসাব পাল্টে যেতেও পারে। কারণ, এখানে স্থানীয় ও বহিরাগত একটা ইস্যু আছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুর রউফ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পরে ১৯৭৯ সালে আসনটি দখলে নেয় বিএনপি। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মশিউর রহমান যাদু মিয়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তার মৃত্যুতে ছেলে শফিকুল গনি স্বপন উপ-নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় পার্টি দল গঠনের পর ১৯৮৬ সাল থেকে দখলে নেয় এ আসনটি।

১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে ময়েজ উদ্দিন সরকার, ১৯৯১ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (উপ-নির্বাচনে করিম উদ্দিন ভরসা), ১৯৯৬ সালে শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, ২০০১ সালে মসিউর রহমান রাঙ্গা, ২০০৮ সালে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আবার মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং সবশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা ৭৭ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের শাহ মুহাম্মদ রুহুল ইসলাম সুজা মিয়া পীর সাহেব পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ২৭৮ ভোট। গঙ্গাচড়ায় স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এদিক থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এরপরও দলের হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়ে সংবাদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চারদলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর মুহম্মদ আবদুল গনি। তিনি পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ২৭০ ভোট।

রাতের ভোট খ্যাত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নাগরিক ঐক্যের শাহ রহমত উল্লাহ প্রায় ২০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন।

১৯৮৬ সালের নির্বাচনে প্রথমে সুজা মিয়াকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করা হলেও পরে কারচুপির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন সরকারের নাম ঘোষণা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সুজা মিয়া। ওই দুই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

এই আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এখন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী তেমন কেউ না থাকলেও বিএনপি থেকে একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকেও এখানে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। যদি ভোট হয় এবং সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে বিএনপির জয় শতভাগ নিশ্চিত।

স্থানীয় ও বহিরাগত প্রার্থী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাঁদ সরকার বলেন, গঙ্গাচড়ায় স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এদিক থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এরপরও দলের হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।

বিএনপি নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি এবং এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। সেদিক থেকে সাধারণ মানুষের সাড়া পাচ্ছি। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবো।’

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী রংপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা বলেন, তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আমি এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এছাড়া এই আসনের তরুণ সমাজ আমার মনোনয়নের জন্য বেশি প্রত্যাশী। এরপরও দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবো।

এছাড়া গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান মাবু মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

ওই আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী রংপুর মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী বলেন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সুজা মিয়া পীর সাহেব সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর শক্ত একটা অবস্থান আছে। বিএনপির সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের সময় তাদের হাইকমান্ডও জানতো যে, এখানে জামায়াতের একটা শক্ত অবস্থান রয়েছে।

রায়হান সিরাজী বলেন, জাতীয় পার্টির অবস্থা এখন ভালো নয়। বিগত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট। তাদের কর্মী-সমর্থকরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং অমুসলিম ভোটারদের একটা হিসাব আছে। সব মিলিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচন বর্জন করলেও আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রস্তুতি সবসময় ছিল।

এদিকে চার দফা দাবিতে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী জিলা স্কুল মাঠে গত ৪ জুলাই বিশাল সমাবেশ করে জামায়াত। প্রায় দেড় যুগ পর রংপুরে জামায়াতের এই জনসভায় মানুষের ঢল নামে। বিভাগীয় এই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ফাঁসির রায় থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে সদ্য কারামুক্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। যাকে রংপুরের একটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত।

এই সমাবেশের পর রংপুরের সব কটি আসনে জামায়াত বেশ উজ্জীবিত হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৪৮ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৬। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ছিলেন দুজন।

এ আসনে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কতজন ভোটার ভোট দেবেন সে তথ্য এখনো জানা যায়নি।

মন্তব্য করুন


Link copied