আর্কাইভ  রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫ ● ২২ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫
এখনও শহীদ মীর মুগ্ধকে অজান্তে খুঁজে ফেরে তার পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
এখনও শহীদ মীর মুগ্ধকে অজান্তে খুঁজে ফেরে তার পরিবার

রংপুরের  প্রিয় সহ জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
রংপুরের প্রিয় সহ জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার

রংপুরে তিনজন সহ গেজেটে নাম নেই ২৩ জুলাই শহীদের, অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় পরিবার

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
রংপুরে তিনজন সহ গেজেটে নাম নেই ২৩ জুলাই শহীদের, অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষায় পরিবার

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস পালনের আহ্বান

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস পালনের আহ্বান

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব

ডান চোখের পর রকির বাম চোখও নষ্টের পথে

রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, দুপুর ০৩:০৭

নিউজ ডেস্ক: জীবন্ত মৃত রাকিবুল ইসলাম রকি। ডান চোখ নষ্ট। বাম চোখেও দেখেন ঝাপসা। অর্থাৎ এ চোখের আলো নিভু নিভু করছে। কবে একেবারে নিভে যায় সেই আতঙ্কেই দিন পার করছেন তিনি। হাসিনা সরকার পতনের লড়াকু এ সৈনিকের চিকিৎসা পরিবারের অর্থকষ্টে এখন বন্ধের পথে। তাই ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে দিন পার করছেন বাবা মোখলেসুর রহমান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, রকি জুলাই বিপ্লবে সব সময় মিছিলের সম্মুখভাগে থাকতেন। গত বছরের ৪ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হন। দুচোখসহ ৬৫টি ছররা গুলির আঘাতে জর্জরিত সারা শরীর। অপারেশন করেও ডান চোখের গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। ডান চোখ তাই নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখের আলোও নিভু নিভু করছে। শরীরেও গুলি আছে এখনো।

রকির বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, রকিকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। ৬ আগস্ট চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন হয়। চারদিন হাসপাতালে কাটে। এরপর আবার তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। তখন চিকিৎসক জানান, তার ডান চোখটি নষ্ট হয়েছে। বাম চোখও নষ্টের পথে। এখন প্রতি মাসে ঢাকায় যেতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।

রকি  বলেন, আমি সব সময় মিছিলের সম্মুখভাগে থাকতাম। পুলিশ খুব কাছ থেকে গুলি করে। আমি নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি নিটিং অ্যান্ড ডায়িং কোম্পানিতে কাজ করতাম। এখন তো কাজ করা সম্ভব নয়। চিকিৎসক বলেছেন, আরো কমপেক্ষ দুটি অপারেশন লাগবে। তবে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে পুরোপুরি অন্ধত্ব থেকে বেঁচে যেতেও পারি। বাম চোখ হারালে আমার পৃথিবী অন্ধকার। কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলব।

বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, তিন-চারটা হাসপাতাল ঘুরে পরে চিকিৎসা করাতে পেরেছি। চরম কষ্ট ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি। আল্লাহর শুকরিয়া, জুলাই ফাউন্ডেশন এক লাখ টাকা দিয়েছিল। চিকিৎসা ও সংসারের পেছনে সব শেষ। এখনো প্রতি মাসে বা প্রতি দুই মাসে একবার চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এখন পথে বসার উপক্রম। কীভাবে এই সংসার চালাব, ছেলেকে চিকিৎসা করাব জানি না।

মন্তব্য করুন


Link copied