নিউজ ডেস্ক: ভারতের অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজে একের পর এক নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-৩১৫ এর অ্যাক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে (এপিইউ) অবতরণের পরপরই আগুন ধরে যায়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিমানটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর যাত্রীরা যখন নামছিলেন, তখনই এপিইউ-তে আগুন ধরা পড়ে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগুন সনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এপিইউ বন্ধ করে দেয় এবং যাত্রী ও ক্রু–রা নিরাপদে বিমানের বাইরে চলে আসেন।
এয়ারবাস এ৩২১-ধরনের দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানটিতে কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিমানটির চলাচল আপাতত স্থগিত করে রাখা হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি তদন্তা করে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার ভারতের সংসদে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মুরলিধর মোহল জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে এয়ার ইন্ডিয়াকে মোট নয়বার নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি সরাসরি নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য দেয়া হয়েছে। এর পরদিনই নতুন করে আগুনের ঘটনা সামনে এলো।
সোমবার সকালে কোচি-মুম্বাই রুটের একটি ফ্লাইট অবতরণকালে রানওয়ের বাইরে চলে যায়। এতে বিমানের ইঞ্জিন কাভার এবং রানওয়ের অংশ বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনডিটিভিতে প্রকাশিত ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, বিমানের ইঞ্জিনের সামনের অংশ ভেঙে গেছে।
এরপর একইদিন বিকেলে দিল্লি-কলকাতা ফ্লাইটটি টেক-অফের ঠিক আগ মুহূর্তে পাইলটরা জরুরিভাবে ব্রেক করে উড্ডয়ন বাতিল করেন। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, উড্ডয়নের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ সনাক্ত হওয়ায় পাইলটরা টেক-অফ বন্ধ করেন।
এমনকি গত মাসেও হংকং থেকে উড্ডয়নরত একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে আসে এবং আবার হংকং বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়। ওই ঘটনার মাত্র তিন দিন আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি বিমান আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়ে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।