আর্কাইভ  বুধবার ● ২৩ জুলাই ২০২৫ ● ৮ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ২৩ জুলাই ২০২৫
মাইলস্টোন স্কুলের সেই ভবনের ওপর দিয়ে আবারও উড়ছে বিমান

স্কুলটির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
মাইলস্টোন স্কুলের সেই ভবনের ওপর দিয়ে আবারও উড়ছে বিমান

নাজিয়াকে দাফন করছেন বাবা, মা আইসিইউতে ছেলের অপেক্ষায়

নাজিয়াকে দাফন করছেন বাবা, মা আইসিইউতে ছেলের অপেক্ষায়

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকির

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকির

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

অবশেষে চালু হচ্ছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু

বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, সকাল ০৮:৫৯

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের তিস্তা সেতু। এই সেতুর মাধ্যমে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে কমে আসবে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া-আসার সময়, ব্যয় ও দুর্ভোগ।

আগামী ২ আগস্ট (শনিবার) উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে এই সেতু। এলাকাবাসীর মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ, অপেক্ষায় রয়েছেন সেতু উদ্বোধনের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তিস্তার উত্তাল স্রোতের ওপর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার মানুষের নতুন স্বপ্নের ও সম্ভাবনার তিস্তা সেতুর কারণে বদলে যাবে দুপাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক অবস্থা। এই অঞ্চলের মানুষকে পার হতে হয় নৌকা কিংবা ঘুরপথে। বর্ষায় যোগাযোগ থাকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। 

স্কুলগামী শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী কিংবা কৃষকসহ সবার জীবনেই ছিল যোগাযোগে দুর্ভোগের চিত্র। এখন শেষ হতে চলেছে সেই চিরচেনা দুর্ভোগের দিন। বাস্তবে রূপ নিয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষের স্বপ্নের তিস্তা সেতু।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে তিস্তা সেতু। এলজিইডি’র মাধ্যমে বাস্তবায়িত দেশের প্রথম দীর্ঘতম সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪৯০ মিটার। সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩১টি স্প্যান। রঙ,লাইটিংসহ পুরো সেতুর অবকাঠামো এখন নয়নাভিরাম। সম্ভাবনার স্বপ্নের সেতুর বাস্তব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন তিস্তা পাড়ে ভিড় করছে মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটির কারণে দুপাশে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়ায় বন্ধ হয়েছে ওই এলাকার নদী ভাঙন। কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী, চিলমারীর সঙ্গে সড়ক পথে ঢাকায় যাওয়ার সময় কমে আসবে প্রায় ৪ ঘণ্টা। সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টিসহ দূরত্ব কমবে গাইবান্ধার সঙ্গে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ তিস্তা ওপারের জেলাগুলোর। পাল্টে যাবে দুপাড়ের মানুষের জীবনমানের ধারা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা মামুন মিয়া জানান, এটি আমাদের কাছে শুধু সেতু না এটি আমাদের একটি স্বপ্নের নাম যা বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের দুপাড়ের মানুষের দুর্ভোগের দিন শেষ হতে চলেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জুলফিকার আলী জানান, তিস্তা সেতুর মাধ্যমে শুধু যোগাযোগ নয় দুপাড়ের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম জেলার মানুষকে আর দীর্ঘপথ ঘুরে আর ঢাকায় যেতে হবে না।

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী জানান, সেতুর পাশাপাশি এর উভয়পাশে স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এ সেতুটি এখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার শেষ পর্যায়ের কাজ চলমান আছে।

২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির কাজের ফলক উন্মোচন করা হয়। কিন্তু এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। নির্মাণ বায় হয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন


Link copied