আর্কাইভ  শনিবার ● ৯ আগস্ট ২০২৫ ● ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ৯ আগস্ট ২০২৫

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি

শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, রাত ০৮:২৯

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

শনিবার বিকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এরআগে সকালে রংপুর বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিগত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বাদ দিয়ে নতুন লোক নেওয়া হবে। ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত আছে।

সিইসি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। এছাড়া বিগত সময়ে যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের যথা সম্ভব বাদ দিয়ে নতুন লোক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগ করা হবে। জাতির কাছে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই কাজ করছে ইসি।

এরইমধ্যে নির্বাচন প্রচারণায় এআইর ব্যবহার মোকাবিলাতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ভোটের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার দু’মাস আগেই তফশিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

বুধবার (৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার ভাষণে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই চিঠি পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এক্ষেত্রে সব প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত পনের বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহাআনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়, তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।

শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লেখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।

মন্তব্য করুন


Link copied