নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ‘আগস্ট রিটার্ন হিট প্ল্যান’ ভেস্তে গেছে। যদিও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে ছিল ভয়াবহ সব নাশকতার ছক। দেশবিরোধী এসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একদল দেশপ্রেমিক পেশাদার কর্মকর্তা। এই টিমে সেনা ও পুলিশ বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বিত টিম নানাভাবে রাত-দিন কাজ করেছে।
এর ফলে এখন বলা যায়, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রথমদফার অপতৎপরতার ছক একে একে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা বসেও নেই। ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য দ্বিতীয় ধাপের ষড়যন্ত্রের ছক হাতে নিয়েছে। যা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায়। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যেভাবে সক্রিয় হচ্ছে প্ল্যান-২: নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ফেলে দিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা-২ সক্রিয় করা হচ্ছে। যার প্রধান টার্গেট অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। ৩ মাসজুড়ে সক্রিয় থাকবে। এর আগে সরকারকে অচল করে দিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিশেষ কিছু কার্যক্রম শুরু হবে। এসব গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ বেশ কয়েকজন। অফিশিয়ালি বসে কাজের সমন্বয় করতে ইতোমধ্যে কলকাতা ও দিল্লিতে আওয়ামী লীগের পৃথক গোপন অফিসও খোলা হয়েছে। সেখানে তারা ৫ আগস্ট থেকে কাজ শুরু করেছেন। এ চক্রের কাজে সহায়তা দিতে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নেপথ্যে থেকে সক্রিয়ভাবে রসদ জোগাচ্ছেন।
ষড়যন্ত্রকারীদের থ্রি টার্গেট: এ চক্রের প্রধান টার্গেট বা লক্ষ্য তিনটি। এক. আগামী জাতীয় নির্বাচন ভন্ডুল করে দেওয়া, দুই. যে কোনো উপায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা প্রতিরোধ করা এবং তিন. একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে এমন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া-যাতে সৃষ্ট প্রতিবিপ্লবের অগ্নিগর্ভ পরিবেশে শেখ হাসিনা ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই দেশে ফিরে আসতে পারেন।
কেন এই টার্গেট : আওয়ামী লীগের পলাতক নীতিনির্ধারক মহলের বদ্ধমূল ধারণা-টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে তারা ভয়াবহ যেসব অপরাধ করেছেন, তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে মাঠের রাজনীতিতে পাকাপোক্তভাবে ফিরে আসা সহজ হবে না। ফের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এজন্য তারা উলটো পথে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই ক্ষমতায় বসাতে মরিয়া। এজন্য যা যা করার তারা সেটিই করতে চান।
এখন কী করবে আওয়ামী লীগ: প্রথমদফার ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের মাস্টারমাইন্ডরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার অনেক কিছুতে তারা সাফল্যও পেয়েছেন। এখন তারা প্রথমদফার সফলতা ও ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আরও নিখুঁত অ্যাকশন প্ল্যান সাজাতে চান। সূত্রমতে, তাদের প্রথম দফার অ্যাকশন প্ল্যানে সফলতার মধ্যে রয়েছে-বিপ্লবী সরকার গঠন হতে না দেওয়া, গণ-অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা সমন্বয়কদের অনেকের মধ্যে বিভেদ ও সন্দেহ সৃষ্টি করা, একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে ফেলা, নানা পদ্ধতিতে বিতর্কিত করা, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি, একে অপরকে প্রতিপক্ষ বানানো, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের অপেক্ষাকৃত কম বিতর্কিতদের গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটানো, আওয়ামী লীগ যেসব ভুল করে ক্ষমতা ছাড়া হয়েছে সেসব ভুলের পথে বিএনপিকে ঠেলে দেওয়া, প্রশাসনের সর্বস্তরে নীরব আওয়ামীপন্থিদের বিশেষ পন্থায় কাজে লাগানো এবং একই ভাবে ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কালচারাল সেক্টরে টিকে যাওয়া চতুর সাইলেন্ট গ্রুপকে ধীরে ধীরে সক্রিয় করে তোলা।
যেভাবে অকার্যকর হলো ‘আগস্ট রিটার্ন হিট প্ল্যান’: চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়াবহ পতন হওয়ার পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া নেতৃত্ব খুব ধীরস্থিরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। যে কারণে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার প্রথমদিন থেকেই তারা বিভিন্ন মাত্রার ‘ষড়যন্ত্র মিসাইল’ নিক্ষেপ শুরু করে। গত এক বছরে নানাভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আওয়ামী দোসরদের সহায়তায় অন্তর্ঘাতমূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনোটি সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে, কোনোটি আঁচ করতেও পারেনি। মূলত এভাবে তারা ছয় মাস আগে বছরপূর্তির আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে সরকার উৎখাতের চূড়ান্ত রূপরেখা প্রস্তুত করে। যার অলিখিত নাম দেওয়া হয় ‘আগস্ট রিটার্ন হিট প্ল্যান’। অর্থাৎ একযোগে আঘাতটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। আর ওই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশে ফেরানো নিশ্চিত করা।
পুলিশের দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ সূত্র যুগান্তরকে এ প্রসঙ্গে জানান, ‘দেখুন-মানুষ যত পরিকল্পনা করুক না কেন, আল্লাহ মহাপরিকল্পনাকারী। এ কারণে অবিশ্বাস্যভাবে ২০২৪ সালের বর্ষাবিপ্লবে ৫ আগস্ট আল্লাহর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। শেখ হাসিনাকে কিভাবে পালাতে হয়েছে তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। রুমের এসি পর্যন্ত বন্ধ করার সময় পাননি। রান্না করা খবারও খেতে পারেননি। গুছিয়ে নেওয়া সবকটি স্যুটকেসও সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, ভয়াবহ পতন হলেও আওয়ামী লীগ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না। তারা সরকার উৎখাতে নানারকম ধ্বংসাত্মক পথে এগোবেই। সেজন্য আমরা বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার শুরু থেকেই এ বিষয়ে অ্যালার্ট ছিলাম। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বস্ত অনেকে যুক্ত ছিলেন এবং এখনো আছেন। কখনো আলাদাভাবে আবার কখনো সমন্বয় করে কাজ করেছি। কেউ কারও সোর্স ওপেন করিনি।
উদ্দেশ্য ছিল-দেশকে রক্ষা করা। সবার আগে দেশ। এত মানুষ এভাবে জীবন দিয়ে গেছে। ওদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এই বাংলাদেশ ভোগ করছি। ফলে এতটুকু বলতে পারি, নানামুখী প্রচেষ্টার একপর্যায়ে আমরা শত্রুপক্ষের ঘরের মধ্যে বিশ্বস্ত সোর্স যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং সেখান থেকে পাওয়া তথ্যগুলো বারবার বিভিন্ন পন্থায় ক্রসচেক করেছি। এরপর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সমন্বয় করে আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো কার্যকরভাবে নিতে পেরেছি। এক প্রশ্নের জবাবে সূত্রটি বলে, ‘পালিয়ে থাকা রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কিছুসংখ্যক লোকের মধ্যে অপরাধবোধ এবং অনুশোচনা কাজ করছে। কেউ কেউ রাজসাক্ষীও হতে চান। ধরে নিতে পারেন, এই শ্রেণির অনেকে সতর্কভাবে সহযোগিতা করায় আমরা ফ্যাসিস্টদের সরকার উৎখাতের প্রথম দফার ষড়যন্ত্র অকার্যকর করে দিতে পেরেছি বলে আপাতত মনে করছি।’
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের অংশ হিসাবে পুলিশসহ জনগণকে কিছুটা সতর্ক করতে ২৮ জুলাই পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। যেখানে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মাঠপর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়। আসলে এই চিঠিটি প্রকাশ্যে আনার উদ্দেশ্য ছিল-শত্রুপক্ষকে ভিন্ন একটি বার্তা দেওয়া। যদিও এর অনেক আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ষড়যন্ত্রের অনেক কিছু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ হয়তো পুলিশের ব্যর্থতা তালাশ করে। কিন্তু অনেকে জানেনই না, ষড়যন্ত্র ও অপরাধ প্রতিরোধ করতে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা গোপনে কিভাবে রাত-দিন কাজ করেন।
এখন যাদের গুরুদায়িত্ব
সূত্রটি জানায়, জাতীয় নির্বাচন হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। তফশিল ডিসেম্বরে। দেশ এখন নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে। এটাও সত্য। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। মনে রাখতে হবে, সুযোগ পেলে ষড়যন্ত্রকারীরা যে কোনো সময় সক্রিয় হবে। পালটা আঘাত করবে। ফলে পুলিশ মনে করে, এখন নির্বাচন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং একটি ভালো নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে সবচেয়ে বড় দায় এবং দায়িত্ব হলো গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনীতিবিদের। বিশেষ করে বিএনপির মতো বড় দলের জন্য গুরুদায়িত্ব তো বটেই। তিনি বলেন, সবাই জানে নির্বাচন হলে ফলাফল কী হতে পারে, কারা ক্ষমতায় আসবে। এটা তো প্রশাসনের লোকজন জানে।
ফলে যদি সবাই বুঝতে পারে-বিএনপি সরকার গঠন করবে, তাহলে বিএনপির লোকজন এখন কোথাও কোনো অপরাধ করলে পুলিশ তো সেভাবে অ্যাক্ট করবে না। তারা ভাববে আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা। এরাই তো দুদিন পর ক্ষমতায় আসবে। এছাড়া পুলিশ এখনো ট্রমা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি। এটিই চরম বাস্তবতা। সবাইকে এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তাছাড়া আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের রাজনীতির যে কালচার, তা তো ওভারনাইট পরিবর্তনও হবে না। তাই আগামী নির্বাচন যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনি বিএনপির মতো বড় দলের জন্যও অনেক বড় কঠিন পরীক্ষা।
খোলা চোখে যেটা দেখা যায়, সেটাই আসল চিত্র নয়। দলের কেউ চাঁদাবাজি করলে শুধু বহিষ্কার কোনো সমাধান হবে না, আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশের মতো বিএনপিকে আগাম প্রতিরোধমূলক পথে কাজ করতে হবে। অনেক বড় দল হওয়ায় দায়িত্বও বড়। এছাড়া এবার যেহেতু ভোট শতভাগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে-সেহেতু বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ সব দলকেও সরকারকে এখন থেকে সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে।
পুলিশের এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, আরও একটি বড় দায়িত্ব এখন গণমাধ্যমের। নিউ মিডিয়ার যুগে এখন তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেখবর আর গুজবের ছড়াছড়ি অবস্থা, সেখানে মেইনস্টিমের গণমাধ্যমকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অবশ্যই বেশির ভাগ সাংবাদিক সে কাজটি করে যাচ্ছেন। যে কারণে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য দেশকে ভালোবেসে শতভাগ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো মিথ্যা বা অপতথ্য প্রকাশ না হয়ে যায়। তাহলে টিম স্পিরিট ধরে রাখা কঠিন হবে। অনেকে তো ষড়যন্ত্র করে ভালো অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দিতে চাইবে। সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শেষকথা হিসাবে তিনি বলেন, কোনোভাবে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না। এই ঐক্যই হলো এখন বড় শক্তি। নির্বাচন হবে। মানুষ যাকে খুশি ভোট দিয়ে তার নেতা নির্বাচন করবে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল ও জনগণের ঐক্য বিনষ্ট হলে বিপদ যে কোনো মুহূর্তে ঘনীভূত হতে পারে।