নিউজ ডেস্ক: পাওয়ার প্লেতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল। রান আউটে কাটা পড়ে অভিষেক ফেরার পর মোড় ঘুরে যায়। প্রথম দশ ওভারে ৯৬ রান তোলা ভারত পরের দশ ওভারে করতে পেরেছে মাত্র ৭২ রান। তাতে ১৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিতে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছেন অভিষেক।
নতুন বলে দারুণ শুরু করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছিলেন তিনি। পরের ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদও ভালো বোলিং করেছেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সাকিব। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলেছেন জাকের আলি।
৭ রানে জীবন পাওয়া অভিষেক পরের ওভারেই জ্বলে উঠেন। নাসুমকে দুই ছক্কা ও এক চার মেরে হাত খুলে খেলা শুরু করেন। সেই শুরু, এরপর পুরো পাওয়ার প্লের বাকি ওভারগুলোতে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন। ৩ ওভারে ১৭ করা ভারত পাওয়ার প্লের পরের ৩ অভারে তুলে ৫৫ রান। সবমিলিয়ে ৬ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারত করে ৭২ রান।
পাওয়ার প্লে শেষেই উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে প্রথম অবার আক্রমণে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ। এই লেগিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন শুবমান গিল। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে করেন ২৯ রান। নবম ওভারে আবারো উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। তিনে নামা শুবম দুবে ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
ব্যাক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন দারুণ ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মা। ২৫ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ফিফটির পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন অভিষেক। শেষ পর্যন্ত রান আউটে কাটা পড়েছেন তিনি। রিশাদের দুর্দান্ত থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মুস্তাফিজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
এর চারবল পরই ফিরেছেন সূর্যকুমার যাদবও। ভারত অধিনায়ককে জাকেরের ক্যাচ বানিয়েছেন মুস্তাফিজ। ১১ বল খেলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। সূর্যের পথে হেঁটেছেন তিলক ভার্মাও। ৭ বলে করেছেন ৫ রান।
হার্দিক পান্ডিয়া এদিন এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৮ রান। এ ছাড়া অক্ষর প্যাটেল করেছেন ১৫ বলে অপরাজিত ১০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সেরা বোলার রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।