নিউজ ডেস্ক: কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৫–এর গ্রুপ ম্যাচে টসের সময় এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা গেল। ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা টসের পর একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেন না।
বাকি সব কিছু ঠিকঠাকই হয়েছে। পাকিস্তান টসে জিতেছে। আগের দিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। এবার তারা সুযোগ পেয়ে ভারতকে সে বিপাকে ফেলতে চাইছে, নিয়েছে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
এদিকে ভারতের এই হ্যান্ডশেক না করার সিদ্ধান্ত এসেছে পুরুষ দলকে অনুসরণ করে। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে ভারতীয় পুরুষ দলও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। জানা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নারী দলকেও একই নির্দেশনা দিয়েছে—পাকিস্তানের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করতে।
নারী বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ শুরুর আগে হ্যান্ডশেক বাধ্যতামূলক নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বলেছে, খেলোয়াড়দের আচরণ যদি খেলার চেতনার পরিপন্থী না হয়, তাহলে হ্যান্ডশেক না করায় কোনো শাস্তির বিধান নেই।
সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এই ঘটনার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। পেহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নিহত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। এর পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জবাবে অপারেশন বুনইয়ান উম মারসুস পরিচালনা করে পাকিস্তানও। এতে ভারত বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।
এর মধ্যেই পুরুষ এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হয় দুই দেশ, প্রতিবারই ভারতীয় দল হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানায়। এবারের নারী বিশ্বকাপে তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ভারত। রোববারের এই ঘটনা তাই কেবল ক্রিকেটীয় নয়, দুই দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলনও বটে।
এ বছর শুরুর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান কেবল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে। এই ব্যবস্থা চলবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। সে অনুযায়ী পাকিস্তান নারী দল তাদের সব বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলছে কলম্বোতে।