ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বরে বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বাউল শিল্পী। পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন, যখন বাউল শিল্পীদের একাংশ কোর্ট চত্বরে জড়ো হয়। তৌহিদী জনতার একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে ‘সম্প্রীতির ঐক্য ঠাকুরগাঁও’ ব্যানারে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তার মোড়ে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাউল শিল্পীরা। একই সময়ে তৌহিদী জনতার একটি দলও ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়। মানুষের ভিড় বাড়তে থাকায় চৌরাস্তায় শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে একদল মানুষ চৌরাস্তা থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে কোর্ট এলাকার দিকে আসে। তারা কোর্ট চত্বরে পৌঁছালে সেখানেই কয়েকজন বাউল শিল্পীর উপস্থিতি টের পান। বাউল শিল্পীরা কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
এ সময় বাউলদের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ করে তোলে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং বাউল শিল্পীদের সঙ্গে তৌহিদী জনতার মধ্যকার একদল মানুষ হামলা করে। পরে হাতাহাতি ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই বাউল শিল্পী আহত হন। উপস্থিত মানুষেরা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার আলম খান বলেন, “বাউল শিল্পীদের মানববন্ধন চৌরাস্তায় হওয়ার কথা ছিল। আমরা আগে থেকেই ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। কিন্তু আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি চৌরাস্তায় কোনো মানববন্ধন হয়নি এবং কোনো পক্ষকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা কোর্ট চত্বরে যাই। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি উভয় পক্ষই সরে গেছে। পরবর্তীতে এলাকাটি আমরা নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসি।”
পুলিশ জানায়, বাউল শিল্পীদের যেকোনো অভিযোগ লিখিতভাবে দিলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তবে বাউলদের ঘোষিত কর্মসূচির আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।