আর্কাইভ  বুধবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

নতুনভাবে পুরান বউ নতুন শাড়িতে দেওয়ার দিন শেষ: চরমোনাই পীর 

নতুনভাবে পুরান বউ নতুন শাড়িতে দেওয়ার দিন শেষ: চরমোনাই পীর 

গণভোটের মাধ্যমে ভোটের চরিত্র পাল্টাতে হবে

গণভোটের মাধ্যমে ভোটের চরিত্র পাল্টাতে হবে

পানিতে ডুবিয়ে ৮ কুকুরছানা হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার

পানিতে ডুবিয়ে ৮ কুকুরছানা হত্যার অভিযোগে নিশি খাতুন গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেই শিক্ষক

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:০৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতি পুরো গাইবান্ধা জেলায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) পরিচালনায় ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার একযোগে পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ ভেঙে পড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তার সহযোগিতাও পর্যাপ্ত পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলে দেখা যায়, অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পরিচালনায় নিয়োজিত, যেখানে একাধিক কক্ষ এককভাবে তদারকি করতে হচ্ছে। এতে পরীক্ষা কক্ষে নিয়ন্ত্রণহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চেঁচামেচি করছে, ইচ্ছেমতো শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করছে, খাতা ও প্রশ্নপত্র বিতরণ বিলম্ব হচ্ছে, এমনকি কোথাও সম্পূর্ণ নজরদারিহীন অবস্থায় পরীক্ষা চলছে।

রায়দাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদী হাবীবা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়েছি। তবে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকায় এককভাবে শতাধিক শিক্ষার্থীকে সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে এক কৃষি অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি প্রায়ই কেন্দ্র ত্যাগ করেন।”

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসনিম তাবাচ্ছুমের মা শামছুন নাহার শিমু বলেন, “অনেক কষ্ট করে বাচ্চারা সারা বছর পড়াশোনা করেছে। পরীক্ষার দিন শিক্ষক না থাকায় তারা বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এভাবে পরীক্ষা হলে প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির জেলা পর্যায়ের এক নেতা জানান, “জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি চলছে। দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি চালু থাকবে। পূরণ হলে পরীক্ষা ও অন্যান্য দায়িত্বে ফিরে যাব।”

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন। তবে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও পরীক্ষার পরিস্থিতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

মন্তব্য করুন


Link copied