আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

কুড়িগ্রামের ৩ গ্রামে ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১১:০১

Advertisement Advertisement

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চর শাখাহাতী, গয়নার পটল, ও শহিদুল মিস্ত্রি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাহক ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের ফলে বিদ্যুতের খুঁটি নদীতে বিলীন হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে খুঁটি সরিয়ে নতুন স্থানে বসালেও বিদ্যুৎ বিভাগ এখনো সংযোগ দেয়নি। 

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, খুঁটি সরানোর বিষয়ে তাদের না জানানোয় সংযোগ স্থগিত রয়েছে। তবে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতার অভাবের অভিযোগ তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করে উপজেলার জোড়গাছ ঘাট থেকে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ দিয়ে চর শাখাহাতীতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়া হয়েছিল। এতে ব্যয় হয়েছিল কোটি টাকার বেশি। কিন্তু চার মাস ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ওই এলাকাগুলোর প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাহকের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, চরটিতে তীব্র ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। এমনকি ভাঙনে বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটিও নদীর সন্নিকটে পড়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে পাঁচটি খুঁটি সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বসিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ সহযোগিতা না করায় ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ওই চরের অন্তত ৩০০ গ্রাহক।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে ভাঙনের মুখে পড়ায় এলাকার লোকজন একত্র হয়ে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোক সেখানের অবস্থা দেখতে যাননি।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলেছি। কিন্তু তারা খালি বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিনিয়ারও ফোন ধরে না।

চিলমারী জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. আলামিন বলেন, তারা নিজে নিজে লাইন নতুন করে নির্মাণ করেছেন। তাই নতুন পাওয়ার প্ল্যান করে বিদ্যুৎ নিয়ে নেক! এটা তো আমাদের রুলস ও রেজুলেশনে পড়ে না। এখন কোনোভাবে লাইন দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা বিষয়টি আগে আমাদের জানালে এবং এখান থেকে স্টিমিং শিট ঢাকার মধ্যে আমাদের অফিসে পাঠালে ওখান থেকে পাশ হয়ে আসত। তারপর লাইনটা করত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে লাইন দিয়ে দিতে সমস্যা ছিল না। এখন এই জন্যে এটা আটকে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied