স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ ভারীবর্ষন ও উজানের পাহাড়ি ঢল কমতে থাকায় তিস্তা নদীর পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.১৫) ৩ সেন্টিমিটার সেন্টিমিটার (৫২.১২) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার(৫২.২৫), সকাল ৭টায় ৫ সেন্টিমিটার(৫২.২০) ও সকাল ৮টায় ২ সেন্টিমিটার (৫২.১৭) উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী।
এর আগে সোমবার(৬ অক্টোবর) রাত ২টায় বিপৎসীমার (৫২.১৫) ৩১ সেন্টিমিটার(৫২.৪৬), রাত ১টায়, ৩৪ সেন্টিমিটার(৫২.৪৯) রাত ১২টায় ও রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১১টায় ৩৫ সেন্টিমিটার (৫২.৫০), রাত ১০টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার(৫২.৪৫), রাত ৯টায় বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার(৫২.৪২), রাত আটটায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার(৫২.৩৫), সন্ধ্যা ৬টায় ১০ সেন্টিমিটার(৫২.২৫) উপর দিয়ে তিস্তার বানের পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
আজ সোমবার ভোর থেকে নদীর পানি কমলেও তিস্তা অববাহিকার ক্ষত চিহৃগুলো ভেসে উঠছে। চারিদিকে শুরু লন্ডভন্ডের দৃশ্যপট। তিস্তার নিচু এলাকা ও লোকালয়ে প্রবেশকৃত বানের পানিতে ভাসছিল ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেতগুলো।
এদিকে রবিবার বিকাল থেকে বানের পানি প্রবেশ করায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চর এলাকার ১৫ হাজার পরিবার এবং লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, আদিতমারী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। রাতে কেউ কেউ শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেশ্বর চর এলাকার কৃষক করিম উদ্দিন জানান, প্রতিবার তিস্তার পানি বাড়লেই আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এবারও সব কিছু ডুবে গেছে। পানির শোঁ-শোঁ শব্দে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। সোমবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি অনেকটা কমেছে।