নিউজ ডেস্ক : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রংপুরে ফুল ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গাঁদা, গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস, কামিনী ফুল ও পাতাসহ নানা ফুল দিয়ে একেকটি পুষ্পস্তবক তৈরি করছেন কারিগররা।
শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পুষ্পস্তবক বানানোর ধুম পড়েছে সর্বত্র। প্রতিটি ফুলের দোকানের সামনেই শোলা ও ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ছোট, বড় এবং মাঝারি আকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি পুষ্পস্তবক।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগাম অর্ডার পাওয়ায় দিনরাত কাজ চলছে।
ফ্লাওয়ার হাউজের মালিক রুবেল খান আজাহার জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে এ পর্যন্ত ৫০টি পুষ্পস্তবকের অগ্রিম অর্ডার পেয়েছি। অর্ডার ছাড়াও আমরা পুষ্পস্তবক তৈরি করে রাখছি, যেন তাৎক্ষণিক ক্রেতারা নিয়ে যেতে পারেন।
জান্নাত পুষ্পালয়ের দোকানি মেহেদী হাসান বলেন, ফুলের পরিমাণ, ডিজাইন এবং আকার অনুযায়ী পুষ্পস্তবকের দাম নির্ধারিত হয়। সাধারণত ৫শ’ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত পুষ্পস্তবক তৈরি করি। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতারা আসেন।
মধুবন পুষ্পালয়ের মালিক আব্দুর রহিম জানান, গত বছর প্রায় দুই লাখ টাকার পুষ্পস্তবক ও ফুল বিক্রি করেছিলাম। এবার আরও বেশি হওয়ার আশা করছি। এরমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন।
শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিবছর বিজয় দিবসে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক প্রদান করি। অগ্রিম অর্ডার দিলে কাজ সহজ হয়।
ছাত্রনেতা আবির হাসান জানান, মহান বিজয় দিবসে শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ আমাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব। এজন্য একটি পুষ্পস্তবক বানানোর জন্য অর্ডার দিয়ে গেলাম। যেহেতু সব ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাই দেড় হাজার টাকা পড়েছে।
ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ বলেন, ফুলের দোকানগুলোতে সবসময় গুণগত মান বজায় রাখা হয়। বিশেষ দিনগুলোতে আমরা আগেভাগেই অর্ডার নিয়ে রাখি যেন ক্রেতাদের সময়মতো পুষ্পস্তবক দিতে পারি। তাছাড়া আমাদের কিছু রেডিমেট তৈরিও থাকে। যেন কেউ আসলে ঘুরে না যায়।
রংপুর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হবে। ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।