স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাদ্য পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাজারে কিন্তু আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য পাচ্ছি। আমরা আশা করছি যেটুকু লক্ষ্যমাত্রা আছে সেটি অর্জন করবো। ধান চালের দাম কৃষকের উপর নির্ভর করবে। খরচের সাথে সঙ্গতি রেখে ধান-চালের দাম নির্ধারন করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সার্কিট হাউজে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের সাথে চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহের লক্ষমাত্রা এবং অর্জন বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ধান-চাল কেনার প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সহজ নয় দেখে কৃষক এলএসডি মুখী নয় বলে আমরা মনে করি। খাদ্য মন্ত্রনালয়ে বিগত সরকারের পরিবর্তনের পর, আগষ্টের পর অনেকগুলো মুখের পরিবর্তন হয়েছে। আমি উপদেষ্টা হিসেবে এসেছি এক মাসের বেশি হচ্ছে। খাদ্য সচিব এসেছেন তিন মাসও হয় নি। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসেছেন তারও তিনমাস হয় নি। সেক্ষেত্রে অনেকগুলো মুখের পরিবর্তন হয়েছে। এই সময়ে নাটকিয় কোনো পরিবর্তন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ও ভবিষ্যতে আমরা ধান-চাল কেনার পদ্ধতিকে আরও সহজ করে তুলবো।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে আমরা এখানে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার আমন ধান সংগ্রহের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য। সকলে আমাকে আশ্বস্ত করেছে আমন ধান-চাল সংগ্রহের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা ইনশাআল্লাহ অর্জিত হবে। ধানের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে সেটা ধানের ধানের ময়েশ্চার জনিত কারণে পুরোটা না হলেও কিছুটা হবে। কিন্তু চালের ফর্মে এটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। আজকের এই মিটিংয়ের ফলে আমাদের কার্যক্রমটা আরও জোরদার হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল কাদের, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান সহ আট জেলার জেলা প্রশাসক, আট জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।