আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: আগামী মাসেই প্রত্যেক জেলায় কমিটি করার চিন্তা

সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ০৪:৪২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো গোছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছে তারা। শনিবার কুষ্টিয়া জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১৫টি জেলায় তাদের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।

তবে দেশের ৬৪টি জেলায় কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাঁরা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে কমিটি গঠন করতে চান।

গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরে কুষ্টিয়া জেলার যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা ১১১ সদস্যের। আগামী ছয় মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে গত ২২ অক্টোবর রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার কথা জানায়। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়।

যে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়, সেখানে সমন্বয়কেরা বলেছিলেন, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে অপকর্ম করতে না পারেন, সেই চিন্তা থেকে তাঁরা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করতে চান। শিগগিরই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। কমিটির প্রধান দুই লক্ষ্য হচ্ছে অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করা এবং ‘মুজিববাদী অপশক্তিকে’ বাংলার মাটি থেকে সমূলে উৎপাটনে লড়াই অব্যাহত রাখা।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, যেসব জেলায় কমিটি করা হবে, সেই জেলাগুলোর বেশির ভাগ উপজেলার কমিটি তৈরি হয়ে গেছে। উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির সঙ্গেই ঘোষণা করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন এর নেতাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে কোটা আন্দোলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যানার অকার্যকর হয়ে যাবে। সরকার পতনের পর ১২ আগস্ট রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ৩৫টি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈঠক হয়। সেখানেও ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের কেউ কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটি বিলুপ্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন সময়সীমার কথা প্রস্তাব করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যানারটি বহাল রাখার পথে হেঁটেছেন সমন্বয়কেরা।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এই ব্যানার ফ্যাসিবাদের পতন ত্বরান্বিত করে। দেশের মানুষ মনে করে, এই ব্যানারের কার্যক্রম এখানে স্থগিত হওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের দায়দায়িত্ব এই ব্যানারের ওপর বর্তায়। তবে এই ব্যানার কোনো রাজনৈতিক দলে রূপ নেবে না বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied