মমিনুল ইসলাম রিপন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে রংপুর মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন মহানগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল। এছাড়া পৃথকভাবে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল সহ সকল অঙ্গ সংগঠনএই কর্মসূচী পালন করে।
নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মহানগর ও জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. মাহফুজ উন নবী ডন, জেলার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ। এসময় জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিল্লুর রহমান জেম্স, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন রাকিব, ফিরোজ সরকার বিপ্লব,তারেক হাসান সোহাগ, শরীফ শামীম হাবু, ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিপ্লব রায়, আকিবুর রহমান মনু, সহ-সাধারণ সম্পাদক তামজিদুর রশীদ গালিব, মাহমুদুল হাসান রানা, মনিরুজ্জামান সুইডেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, বর্ষণ আহমেদ বিপ্লব, কোষাধ্যক্ষ আশারফুল আলম, সহ-কোষাধ্যক্ষ নাইমূল ইসলাম তমাল, সহ-প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা পৃথক কর্মসূচী পালন করে। এসময় মহানগর যুবদলের আহবায়ক নুরনবী চৌধুরী মিলন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদ ও শহিদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ। এছাড়াও জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শামীম মিয়ার নেতৃত্বে জেলা ম্রমিক দল পৃথকভাবে কর্মসূচী পালন করেন। একই সময়ে সিটি বাজার ও কাচার বাজার স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, কৃষক দলসহ অঙ্গ সংগঠন।
বক্তারা, ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার যে গুম, খুন, অত্যাচার রাহাজানি করেছে, তার বিরুদ্ধে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আসতেই হবে।