স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরে হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার রংপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে আলু চাষী এবং ব্যবসায়ীদের অনশন পালন করেছে।
অনশন চলাকালে বেলা ১টার দিকে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান অনশনরত আলুচাষিদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান।তিনি আলু চাষিদের বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রোজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান, রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিকসহ রংপুর জেলা ও বিভাগীয় আলুচাষি ও ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেট করে রংপুরের হিমাগার গুলোতে আলু রাখার ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে।গত বছরের তুলনায় এ বছর এক লাফে বস্তা প্রতি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত, যা আলু ব্যবসায়ী ও চাষিদের জন্য অমানবিক।তিনি হিমাগারে চাষিদের বস্তা প্রতি ভাড়া কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রংপুর জেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিক বলেন, বিদ্যুৎ বিলের অযুহাতে রংপুর জেলার ৪০টি হিমাগারে হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।দেশের অন্যান্য জেলায় হিমাগারে ৬০ কেজি ওজনের আলুর বস্তা প্রতি ভাড়া ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে সেখানে রংপুর অঞ্চলে নেওয়া হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৩৮৫ টাকা করে।
রংপুর জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ অনেক বেড়েছে। যার কারণে ভাড়া কিছুটা বর্ধিত করা হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে।