আর্কাইভ  সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫ ● ২১ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

ভারী বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল-ভারতে নিহত ৬৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

বিএনপির সঙ্গে গোয়েন লুইসের বৈঠক, নির্বাচন-রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

রংপুরে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ৩০ লাখ টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি শুরু

৩ হাজার টাকায় দোকানে মিলছে জন্মসনদ!

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, দুপুর ০২:০৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: দালাল ছাড়া মেলে না জন্মসনদ। সরকারি ফি ৫০ টাকা হলেও দোকানে গেলে তিন হাজার টাকায় মিলছে সনদ। চক্রের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। নাগরিকদের চরম ভোগান্তি হলেও এর দায় নিতে নারাজ সিটি করপোরেশন।

নতুন জন্মসনদ কিংবা ভুল সংশোধন। হাতে পাবেন তিন দিনের মধ্যে। এজন্য গুণতে হবে তিন হাজার টাকা। জন্মসনদ নিয়ে কাজ করা এক দোকানদারের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি বলেন, ২৫০০ টাকা ধরে রাখতে হবে নতুন জন্মসনদ তৈরি করতে। টাকা কমানোর অনুরোধ করলেও হবে না।

 
ওই দোকানদার আরও বলেন, টাকা পয়সা তো লাগবেই। এই যে এটা করতে তারা এক হাজার টাকা করে চার্জ করবে। ৩ হাজার না, ২৫০০ টাকা দেবেন তাকে। সরকারি চাকরি করেন তো ওনারা, ফোনে কথা বলেন না। হাতে হাতে কাজ করে দেন। ফোনে কথা বলেন না। ফোনে অ্যাভিডেন্স থেকে যায় তো, তাই তারা ফোনে কথা বলেন না।
 
আবেদনের জন্য টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। এমন কী বাড়ি কিংবা হাসপাতাল, জন্ম যেখানেই হোক পছন্দের ঠিকানারও ব্যবস্থা আছে এসব দোকানে। টাকা দিলেই মিলবে সব কাগজপত্র।
 
ওই দোকানদার বলেন, সব তথ্য ম্যানেজ করে দেয়া যাবে।
 
সনদ জালিয়াতি করা চক্রটি হাসপাতালের ছাড়পত্রের জন্য ব্যবহার করে বেসরকারি একটি ক্লিনিকের নাম। সত্যতা যাচাইয়ে গেলে অভিযোগের ভিত্তি নেই বলে জানান ওই হাসপাতালের কর্মীরা।
 
আবারও সেই দোকানদারের কাছে যাওয়া হলে তিনি ক্যামেরা দেখে ভোল পাল্টালেন। সব কথা অস্বীকার করেন এ দোকানদার। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আঙুল তোলেন ডিএনসিসির দিকে।
 
ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল ১) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো সেবা দেয়ার বিষয় থাকে, আমরা সেটা করে দেব। আর মিডিয়াতে বক্তব্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা পিআরও দেন।  
 
ভোগান্তি হলেও সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়েই দালালচক্রের কাছে ছুটছেন অনেকে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও সেবা নির্বিঘ্ন করার দাবি ভুক্তভোগীদের।

মন্তব্য করুন


Link copied