স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারী ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(২৭ মে) দুপুরে সমিতির মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। এসময় তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিক নিয়ে এখনো আমাদের অজ্ঞতা আছে, এ নিয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা থেলাসেমিয়া সচেতনতা নিয়ে কাজ করছি। থেলাসেমিয়া নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা অর্থ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করবো।’ তিনি বলেন, ‘নীলফামারীতে এতো কিছু কাজ হচ্ছে কারো একক প্রচেষ্ঠায় নয়, এটা সকলের অংশগ্রহনে হচ্ছে। তাই সবাই মিলে যেন আমরা নীলফামারীর দরিদ্র জনগোষ্ঠির পাশে দাড়াই।’
সমিতির সহ সভাপতি আনোয়ারুল ওয়ারেজের সভপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম শাহ, সিভিল সার্জন মো. হাসিবুর রহমান, মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তৃতা এবং বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহীন। বার্ষিক বাজেট পেশ করেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরল জাকী স্টালিন। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সায়েণ্টিফিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লায়েক আহমেদ খাঁন।
সেমিনারে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের মতে ২০১৯ সালে ডায়াবেটিক রোগির শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। একই বছরের জরিপে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ। এর বাহিরেও অনেক রোগী আছেন, তারা পরীক্ষার আওতায় নেই।
দ্বিতীয় অধিবেশনে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সমিতির সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ।
ফুল ও ক্রেষ্টের বদলে সংগ্রহ দুই লাখ
ওই অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নীলফামারী ডায়াবেটিক সমিতিকে নগদ দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ভাই আমাদের বলে দিয়েছেন কোনো অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া বা ক্রেষ্ট দেয়া যাবে না। ফুল ও ক্রেষ্টের অর্থ ডায়াবেটিক সমিতিতে দিতে হবে। ওনার নির্দেশে আমরা অনুষ্ঠান স্থলে একটি বাক্স রাখি।ওই ফুল ও ক্রেষ্টের অর্থ বাক্সে দিতে হবে বলে জানিয়ে দেই। পাশাপাশি যে যার মতো অর্থ দেন ওই বাক্সে। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সম্মেলনে আমাদের নেতা-কর্মীদের দেয়া ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করি। বাকী ১২ হাজার টাকা আমাদের সভাপতি আবুজার রহমান ও আমি দেই।’