বিনোদন ডেস্ক : ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে লাখ লাখ অর্থ আয় করছেন বর্তমান প্রজন্মের অনেকে। যা আজকাল মাঝে মাঝেই শোনা যায় বিভিন্ন ইউটিউবারদের মুখে। কিন্তু এবার ঘটল ব্যতিক্রম এক ঘটনা। ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বরং আরও আট লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। চ্যানেলটির ব্র্যান্ডিং করতে সব বিক্রি করে এখন নিঃস্ব হওয়ার অবস্থা তার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্যান্য ইউটিউবারদের আয়ের কথা শুনে তিন বছর আগে চ্যানেল খুলেছিলেন নলিনী উনাগর। ‘নলিনীর কিচেন রেসিপি’ ছিল সেই চ্যানেলের নাম। এর জন্য ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। তিন বছরে আট লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বিনিময়ে কিছুই পাননি নলিনী।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক ঘোষণায় নলিনী তার ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। এ জন্য স্টুডিওর সরঞ্জাম এবং রান্না ঘরের সেটআট বিক্রির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আমার ইউটিউব ক্যারিয়ারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এ জন্য আমার রান্নাঘরের সব আনুষাঙ্গিক ও স্টুডিওর সরঞ্জাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেউ যদি কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে জানাবেন আমাকে।
ইউটিউব ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হওয়ার পর প্ল্যাটফর্মটির ওপর বেশ চটেছেন নলিনী। প্ল্যাটফর্মটির অ্যালগরিদম নিয়েও ক্ষোভ তার। প্ল্যাটফর্মটি কিছু কিছু বিষয় ও চ্যানেল নিয়ে বেশ পক্ষপাত দুষ্ট বলে জানিয়েছেন নলিনী। তিনি বলেন, আমি যে চ্যানেলটি চালিয়েছি সেখানে তিন বছরে মাত্র ২ হাজার ৪৫০ জন সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহ করতে পেরেছি।
এ ইউটিউবার সম্প্রতি তার চ্যানেলের সব ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন। তার দাবি, নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে তিন বছরে ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কিন্তু বিনিময়ে কার্যকরী কোনো ফল পাননি। এ ব্যাপারে বলেন, আমি স্বীকার করতে চাই যে, রান্নাঘর তৈরি, স্টুডিওর সরঞ্জাম কেনা এবং প্রোমোশনের জন্য ইউটিউবে আমরা প্রায় ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু ফলাফল শূন্য। চ্যানেলটি তৈরি করতে আমার অর্থ ও সময় নষ্ট হয়েছে। আমি ক্যারিয়ারেও ঝুঁকি নিয়েছি। বিনিময়ে ইউটিউব আমাকে কিছুই দেয়নি। আমার ধারণা প্ল্যাটফর্মটি নির্দিষ্ট কিছু চ্যানেল ও নির্দিষ্ট ধরনের ভিডিওগুলো বেশি সাপোর্ট করে।
এদিকে ইউটিউবার নলিনীর পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকে হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাকে। আরেকবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। তবে তাতে নারাজ তিনি। তার ভাষ্যমতে, তিন বছরে ২৫০টির বেশি ভিডিও তৈরি করেছেন। তাতে কোনো ফল পাননি।