এর আগে ১ জানুয়ারি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশ দিয়েই শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে প্লাস্টিক ও মেটার ফ্রেমের চশমার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়। এতে দেখা যায়, আগে প্লাস্টিকের চশমায় ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এখন সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইভাবে মেটালের ফ্রেমের চশমায় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। রিডিং গ্লাসের প্লাস্টিক ও মেটাল—উভয় ধরনের ফ্রেমেও ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। পাশাপাশি সান গ্লাসের প্লাস্টিক ও মেটাল—উভয় ধরনের ফ্রেমেও ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
আগে দোকান থেকে এক হাজার টাকার একটি চশমার ফ্রেম কিনলে ৫০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো। এখন যেহেতু ভ্যাটের হার তিনগুণ হয়েছে তাই দিতে হবে ১৫০ টাকা। তার মানে খরচ বাড়বে ১০০ টাকা।