স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে এসে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ড. জোবায়ের একাদশের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি। রবিবার(২২ অক্টোবর) বিকালে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়র্ধে ২০ মিনিটে খেলার একমাত্র গোলটি করেন ড. জোবায়ের একাদশের ৭ নম্বর জার্সিধারী শরিফুল ইসলাম। তবে সেটডিয়াম ভর্তি দর্শকরা ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির সমর্থন করে গেলেও খেলা শেষ পর্যন্ত গোল পরিশোধ করতে পারেনি ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি।
দুপুর গড়াতেই স্টেডিয়ামের দিকে দলে দলে মানুষ ছুটে আসে। খেলা শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়াম। খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে হাজার হাজার দর্শক। জমজমাট খেলাটিতে আনন্দে মাতে দর্শক। অনেক দর্শক আশেপাশের বহুতল ভবনের ছাদে বসেই খেলা উপভোগ করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা উপভোগ করতেই মানুষের এমন উৎসাহ দেখা গেছে। আনন্দে মাতে দর্শকরা।
এর আগে বিকাল ৪টায় খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম সবুর পিপিএম, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম, জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল প্রমুখ।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটির প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করে দৈনিক বাংলাদেশ টুডে।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ব্যারিষ্টার সুমন বলেন, ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। হয়তো ভালো খেলা আমরা দিতে পারি না, সে জন্য মানুষ মাঠে আসে না। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের ফুটবল খেলাকে আবারও পুনর্জাগরণ করবো। তিনি এখানকার মানুষ অনেক ভালো উল্লেখ করে বলেন আমি আত্মীয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। তিনি তার জেলা সিলেটের হবিগঞ্জে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশের ফুটবল এখন আইসিইউতে। এই ফুটবল খেলাটিকে বাঁচিতে তোলার জন্য প্রতিটি জেলায় এমন প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করছি। খেলার মাঠগুলি বর্তমানে হাটবাজার ও গরু ছাগলের হাটে পরিনত হয়েছে। ফলে খেলার মাঠগুলি দখলদারদের দখলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঠ রক্ষা ও যুবকদের মাঝে ক্রীড়াঙ্গনকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি এই চেষ্টা করে যাচ্ছি।