আর্কাইভ  রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫ ● ২২ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৬ জুলাই ২০২৫
ছুটির দিনেও রাজপথ ছিল অগ্নিগর্ভ

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
ছুটির দিনেও রাজপথ ছিল অগ্নিগর্ভ

৭ জুলাই ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
৭ জুলাই ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’র প্রিমিয়ার শো

১৯ জুলাই 'মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস' ঘোষণার দাবি

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
১৯ জুলাই 'মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ দিবস' ঘোষণার দাবি

হাসিনার মুখে ছিল এক কথা, ভেতরে অন্য চিত্র

ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব
হাসিনার মুখে ছিল এক কথা, ভেতরে অন্য চিত্র

ডোমার নেসকো কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে পুনর্বহালের দাবিতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩, বিকাল ০৬:৩৫

Ad

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বিদ্যুতের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে পুণবহাল ও দালাল চক্রের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ গ্রাহকের ব্যানারে আজ সোমবার(১৩ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে উপজেলা শহরের চেয়ারম্যানের মোড়ে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা জানান, নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ডোমারে আসার পর তাঁর কার্যালয়কে দালালমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন একটি চক্র। তারা বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টায় লিপ্ত হন। তারই অংশে চক্রটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুয়া তথ্য সরবরাহের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ৬ মার্চ ওই নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। 
উপজেলার পাঙ্গামুটুকপুর গ্রামের কৃষক শাহিনুর আলম (৪৫) জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ডোমার বিদ্যুৎ বিপণন ও বিতরণ কেন্দ্রে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের আগে এ কার্যলয়টি ছিল দালারের অভয়ারণ্য। এসব দালাল নানা অজুহাতে সাধারণ গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলতেন। নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সেটি শক্তহাতে দমন করে নিজ কার্যালয় দালালমুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন,‘আমার বিদ্যুৎচালিত তিনটি সেচপাম্প রয়েছে। এসব সেচপাম্প দিয়ে এলাকার ৩০০ বিঘা জমিতে সেচ প্রদান করা হয়। এই নির্বাহী প্রকৌশলী আসার আগে ওই দালল চক্র নানা সমস্যার সৃষ্টি করতেন। পরে দালালমুক্ত হওয়ায় আমি সরাসরি যোগাযোগ করতে পারায় আর কোন সমস্যা হয়নি।’
পশ্চিম চিকনমাটি গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৫) বলেন, অন্য অফিসার থাকাকালে আমরা ঠিকমত বিদ্যুৎ পাই নাই। এই অফিসার আসার পর আমরা সবসময় বিদ্যুৎ পাইছি। এলাকায় নতুন পিলার বসানো হইছে, নতুন নতুন বাড়ি বিদ্যুৎ পাইছে। এজন্য কোন টাকা-পয়সা লাগে নাই। আগে এসব কাজ দালালের মাধ্যমে করতে হতো। অনৈক টাকা লাগতো। 
চিকনমাটি গ্রামের অপর কৃষক রাজু ইসলাম বলেন, আগে দালাল ছাড়া বিদ্যুতের কোন কাজই সম্ভব হতো না। এই অফিসার আসার পর সাধারণ গ্রাহক সরাসরি যোগাযোগ করে তাঁকে সমস্যার কথা বলতে পারেন। তিনি এলাকার অনেক মানুষের সমস্যাও সমাধান করেছেন। এতে করে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ওই দালাল চক্রটি। 
তাঁরা নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের পুণবহালের দাবি জানিয়ে বলেন, সেটি না হলে আবারো দালালের হাতে জিম্মি হলে বিদ্যুৎ কার্যালয়টি। এতে করে সেবা বঞ্চিত হবে এলাকার মানুষ। 
সূত্রমতে, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডোমার নেসকো কার্যালয়ের সিস্টেম লস ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এতে করে প্রতিমাসে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হতো প্রায় ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে সে সিস্টেম লস কমে ঠেকেছে আট থেকে ১০ শতাংশে। এসময়ে বকেয়ার পরিমান ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকার মতো। গত দুই বছরে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটিতে। এ সময়ে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মান ও সংস্কার হয়েছে। সমাধান হয়েছে লো ভোল্টেজের সমস্যা। ওভার বিলিংয়ের অভিযোগ প্রায় শূন্যের কোঠায় এসেছে। এতে করে গত দুই বছরে ১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ বিষয়ে নেসকোর রংপুর জোনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসনাত জামান একটি গণমাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হওয়ায় তাঁকে সাময়িক প্রত্যাহার করার করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলমান আছে, কাজ শেষে দ্রুত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied