বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার(২৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা শহরের পৌর সুপার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় দেশব্যাপী বিএনপি জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যে আগুন সন্ত্রাস,গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আজ শনিবার(২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টায় জেলা শহরে পৌর সুপার মার্কেটের উত্তর সাইডে শান্তি সমাবেশের মঞ্চ করে জেলা আওয়ামী লীগ। অপর দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রার জন্য একই মার্কেটের দক্ষিন দিকে মুখোমুখি মঞ্চ দেয় বিএনপি। একই সময় একই স্থানে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুইটি দলের নেতাকর্মীরা। দুইদলের কর্মসূচি চলার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ¯োগান দিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে যায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুইদলের এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশ দুই দলের নেতাকর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির মঞ্চের সামনে থাকা বেশ কিছু চেয়ার ভাংচুর করা হয়। এ সময় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল শাহ আপেল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু কর্মসূচির নামে তারা (বিএনপি) দেশবিরোধী ¯োগান ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করে। বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিয়েছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মমতাজুল হক বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের কর্মসূচির সময় দেশবিরোধী ¯োগান ও শেখ হাসিনাকে গালিগালাজ করলে বাধা দেই মাত্র।
বিএনপির সভাপতি আ ক ম আলমগীর সরকারের অভিযোগ, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা-ভাঙচুর চালায়। তারা মঞ্চে উঠে চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার খুলে নেয়। এ সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। তারা শুধু বিএনপিকে বাধা দিতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগকে পারে না। এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাফিজুর রশিদ প্রামানিক মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মমতাজুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক সচিব আমিনুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যথাক্রম আবুজার রহমান, ওয়াদুদ রহমান সহ আরও অনেকে। শান্তি সমাবেশ শেষে একটি বিােভ মিছিল জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি শেষে জেলা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষ হবার পর বিএনপির পক্ষে পদযাত্রা শেষে পৌর মার্কেটের দক্ষিন দিকে এসে তারা সমাবেশে মিলিত হয়।