আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

পারিবারিকভাবে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তুললেন প্রেমিক!

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২, রাত ০৮:৫৮

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রথম বিয়ে করে গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন এক প্রেমিক। প্রথম স্ত্রীর অনশনে পারিবারিকভাবে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তুললেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি (২৫) নামে এক প্রেমিক। পরে একসঙ্গেই দুই বউকে ঘরে তুলেছেন তিনি।

ঘটনাটি গত বুধবার (২০ এপ্রিল) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকার। রোহিনী চন্দ্র বর্মন ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। বুধবার রাতে রোহিনী চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিয়ে হয় তাদের।

স্থানীয়রা জানান, একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রনির প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এক পর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই। 

এরমধ্যে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনোকিসর রায়ের মেয়ে মমতা রানীর (১৮) সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতা রানীর সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রনি। সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। আটকে রাখেন রনিকে। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাদের।

এদিকে, রনির বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন প্রথম স্ত্রী ইতি রানী। পরে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে রনির বাড়িতে পূণরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়। তবে এঘটনায় কোন পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলেও এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, দুইজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে আসাদের আপত্তি ছিলোনা। তবে আগের বিয়ে গুলোর বিষয়ে যেহেতু জানা ছিলোনা, তাই নতুন করে আমি আবার বিয়ের আয়োজন করেছি।

ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কোন অভিযোগ নেই। রোহিনীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজনই ছিলাম।

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied