আর্কাইভ  বুধবার ● ২৭ আগস্ট ২০২৫ ● ১২ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ২৭ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘ঘনিষ্ঠতাকে’ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ভারত

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘ঘনিষ্ঠতাকে’ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ভারত

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডিসি ডিবি হারুনের দাপটে ভিন্ন খাতে যায় মামলার তদন্ত

মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডিসি ডিবি হারুনের দাপটে ভিন্ন খাতে যায় মামলার তদন্ত

ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রাখুন

ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রাখুন

ভোটারদের দ্বারে প্রার্থীরা, তিন স্তরের নিরাপত্তাসহ থাকবে সেনা মোতায়েন

প্রচার শুরু, হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ভোটারদের দ্বারে প্রার্থীরা, তিন স্তরের নিরাপত্তাসহ থাকবে সেনা মোতায়েন

বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন সাংবাদিক দম্পতি

শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, রাত ০১:২৯

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় প্রায় সবার পরিচিত মুখ সাংবাদিক দম্পতি মো. কাইসার হামিদ (৫১) ও মোছা. রোকেয়া আক্তার (৪৪)। এ দম্পতির পাঁচ সন্তান, সবাই পড়াশোনা করছেন। দু’জনের বাবা পেশায় শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও শিক্ষিত। এসএসসি পাস না করায় তাদের মনে দুঃখ ছিল। অদম্য ইচ্ছা আর মানসিক শক্তির জোরে এবার সেই দুঃখ ঘুচিয়েছেন তারা।

কাইসার হামিদ ও রোকেয়া আক্তার এবার নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দেন। দু’জনই জিপিএ ৪ দশমিক ১১ পেয়ে পাস করেছেন। বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করায় এ দম্পতিকে অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কাইসার হামিদ দৈনিক নয়াদিগন্ত এবং রোকেয়া আক্তার দৈনিক বুলেটিন পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

কাইসার হামিদ বলেন, সক্রিয় সাংবাদিকতার বয়স ৩০ পেরিয়েছে। সমাজ থেকে অনেক ভালো কিছু পেয়েছি। কেবল কষ্ট ছিল পড়াশোনা নিয়ে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই একই কষ্ট। বাইরে গেলে পড়াশোনার প্রসঙ্গ এলে চুপ থেকেছি। অনেকে ইচ্ছা করে খোঁচা দিতেন। এসএসসি পাস না করে সাংবাদিকতা করছেন কীভাবে, অনেকে প্রশ্নও তুলতেন। পরে যেভাবে হোক এসএসসি পাসের পরিকল্পনা করি। সেই অনুযায়ী ভর্তি হয়ে দু’জনে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেই।

কাইসার হামিদের বাড়ি কুলিয়ারচরের গোবরিয়া গ্রামে। রোকেয়া জেলার কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের মেয়ে। বিয়ে করেন ৩০ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ১৬ মার্চ। এ দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান নাসরিন সুলতানা ইতোমধ্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দ্বিতীয় সন্তান জেসমিন সুলতানা স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং তৃতীয় সন্তান মাইমুনা পড়ছেন নার্সিং বিষয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন নবম এবং আবদুল্লাহ ফাহিম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পরীক্ষায় পাস করতে পেরে আনন্দিত রোকেয়া আক্তারের ভাষ্য, অল্প বয়সে বিয়ে হয়। পরে সন্তান। এ কারণে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এই কষ্ট দুই যুগের অধিক সময় ধরে বয়ে বেড়াতে হয়েছে। আমরা দু’জন কষ্ট দূর করার উপায় খুঁজতাম। এটা বুঝতে পারি, কষ্ট দূর করতে হলে পরীক্ষা দিয়ে পাস করার বিকল্প নেই। সে কারণেই সাহস করে পরীক্ষা দিলাম এবং ফল পেলাম।

বিলম্বে হলেও মা–বাবা এসএসসি পাস করায় খুশি সন্তানেরাও। দ্বিতীয় সন্তান জেসমিন সুলতানা বলেন, মা–বাবা দু’জনই এসএসসি পাস করার বিষয়টি আমাদের ভাই-বোনদের অনেক আনন্দ দিচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied