আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাক আমাদের প্রিয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১০:০৪

Advertisement Advertisement

শেখ মাজেদুল হক
উত্তরের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে স্বীকৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) তার ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে আজ। ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল। এ অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে এবং তাদের সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠটি নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়ে চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, যার নেতৃত্বে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম শুরু হয় রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের একটি পরিত্যক্ত ভবনে। প্রথম ভর্তি কার্যক্রমও তৎকালীন কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. দীপকেন্দ্র নাথের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় বেরোবির নিরন্তর অগ্রযাত্রা। ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি বর্তমান স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন হয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সেশনজট মুক্ত ক্যাম্পাসে পরিণত হওয়া এবং গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখা। ২০২৩ সালের সিমাগো র‍্যাংকিংয়ে দেশের সেরা ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় তৃতীয় স্থানে ছিল বেরোবি। বর্তমানে, ২২টি বিভাগে প্রায় ৮,৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে, যাদের মধ্যে অনেকেই দেশে ও বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছেন।

তবে, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ঘটে যায় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা, যখন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন। তার এই আত্মত্যাগ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন জাগিয়ে তোলে, যার ফলশ্রুতিতে ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ পদত্যাগ করেন। এরপর, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী, যিনি বর্তমানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে আমরা আশাবাদী। ভালো শিক্ষক এবং গবেষকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, কারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র গ্রাজুয়েট তৈরির জন্য নয়, বরং ভালো মানুষ তৈরির জন্য কাজ করে। শিক্ষার্থীরাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ, এবং তাদের দক্ষতা এবং মননশীলতা উন্নয়নে আমরা সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সর্বোপরি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এবং আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসের সাফল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক—এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, মার্কেটিং বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
ইমেইল: smh.mkt@brur.ac.bd

মন্তব্য করুন


Link copied