নিউজ ডেস্ক: অনলাইন জুয়া বন্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রোববার (৪ মে) এক রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
অনলাইন জুয়ার সব ওয়েবসাইট, লিংক, অ্যাপ, গেইটওয়ে এবং এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন অপসারণে সরকারকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনলাইন জুয়া বন্ধে এবং জড়িতদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার, নাঈম সরদার ও বায়েজীদ হোসাইন।
এর আগে অনলাইন জুয়া বন্ধে গত ১৬ এপ্রিল সরকারকে আইনি নোটিশ দেয় ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। বিবাদীরা কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় রিট মামলাটি করা হয়।