নিউজ ডেস্ক: তারা পর্দায় যেমন রঙিন, ব্যক্তিজীবনে ঠিক ততটাই রঙচটা অভিজ্ঞতার সাথী। কেউ ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন, কেউ আলো ছড়াতে ছড়াতেই সংসার পেতেছিলেন দূরে কোথাও। ক্যামেরার ঝলকানির বাইরে তাঁদের জীবনে ছিল প্রেম, বিশ্বাস, সন্তান, এমনকি ‘স্মরণীয়’ বিবাহবার্ষিকীও।
কিন্তু সব গল্পে তো হ্যাপি এন্ডিং আসে না। তাদেরও আসেনি। আজ সেই নায়িকারা কেউ একজনের সাবেক স্ত্রী, কেউ এক সন্তানের মা, কেউ আবার একাধিক সম্পর্ক ভেঙে একা হাঁটছেন। তবে একটা জায়গায় তারা সবাই এক—তারা আর ঘর বাঁধেননি।
তাদের গল্পগুলো একেকটা ভাঙা আয়নার মতো—যেখানে সুখ, তিক্ততা আর সাহস একসাথে ঝলসে ওঠে। এই প্রতিবেদন সেই ভাঙাগুলো ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা—ঢাকাই সিনেমার সেই নায়িকাদের নিয়ে, যারা আজও একা।
অপু বিশ্বাস
২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খানকে। একসঙ্গে চলছিল ক্যারিয়ার আর সংসার। ২০১৮ সালে অপু সন্তানসহ সেই সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন, যা মেনে নেননি শাকিব। তিন মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদ। এখন শুধুই মা অপু—ছেলে জয়কে নিয়েই তাঁর জগৎ।
শবনম বুবলী
শাকিব খানের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে, এরপর ২০২০ সালে পুত্র সন্তানের জন্ম। ২০২২ সালে নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেন সেই খবর। কিন্তু সেই সংসারও বেশিদিন টেকেনি। বিচ্ছেদের পর থেকে একাই আছেন বুবলী, ক্যারিয়ারে মন দিচ্ছেন।
মাহিয়া মাহি
২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে। ভেঙে যায় ৫ বছরের সংসার। এরপর ২০২১ সালে আবার বিয়ে করেছিলেন রাজনীতিক রকিব সরকারকে। সে সম্পর্ক থেকেও এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আলাদা হয়েছেন মাহি। এখনো নতুন করে ঘর বাঁধেননি তিনি।
পরী মণি
বিয়ের তালিকাটা দীর্ঘ। সবশেষ শরিফুল রাজ। প্রতিটি সম্পর্কেই দিয়েছেন সর্বস্ব। রাজ্যের মা হওয়ার পরও টেকেনি সেই সংসার। ২০২৩ সালে রাজকে ডিভোর্স দিয়ে আবার ফিরে গেছেন একক জীবনে।
তমা মির্জা
২০১৯ সালে কানাডার ব্যবসায়ী হিশাম চিশতিকে বিয়ে করেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা। তবে টেকেনি সেই সম্পর্ক। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ। এরপর আর বিয়ের পথে হাঁটেননি তমা।
বিচ্ছেদের পর আবার কেউ কেউ প্রেমে পড়েন, কেউ আবার একাই থাকেন নিজের মতো। এই পাঁচ নায়িকা আপাতত ‘ব্যাচেলর’, নতুন সংসার নয়, ব্যস্ত আছেন সন্তান, ক্যারিয়ার আর নিজেকে নিয়ে।