আর্কাইভ  বুধবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসুর ভিপি সাদিক, জিএস ফরহাদ ও এজিএস মহিউদ্দীন

ডাকসুর ভিপি সাদিক, জিএস ফরহাদ ও এজিএস মহিউদ্দীন

ছয়টি হলে সাদিক-আবিদ-হামিম-ফরহাদরা কে কত ভোট পেলেন?

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
ছয়টি হলে সাদিক-আবিদ-হামিম-ফরহাদরা কে কত ভোট পেলেন?

ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দিলেন যে দুই ভিপি প্রার্থী

ডাকসু নির্বাচন
ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দিলেন যে দুই ভিপি প্রার্থী

৯ হলের ফল ঘোষণা : সাদিকের ভোট ৯৭৫৭, আবিদ ৪০৬৪

৯ হলের ফল ঘোষণা : সাদিকের ভোট ৯৭৫৭, আবিদ ৪০৬৪

শহীদ আবু সাঈদের ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে’ ভুল, লাল কাপড়ে ঢেকে দিলেন সহযোদ্ধারা

শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, রাত ১২:৫৬

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে স্থাপিত ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’-এ তথ্যগত অসংগতি ধরা পড়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শিক্ষার্থী ও সহযোদ্ধারা লাল কাপড় দিয়ে স্মারকটি ঢেকে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এলজিইডির অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্মরণচিহ্নটি স্থাপন করা হয়। গত বছর এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

স্মারকে লেখা রয়েছে, ‘রংপুরের ছেলে শহীদ আবু সাঈদ... ১৬ জুলাই আসমানের দিকে দুই হাত প্রসারিত করে শাহাদাত বরণ করলেন।’ তবে এতে একাধিক ভুল রয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক শামসুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অথচ স্মারকে তা উল্লেখ নেই। তার জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর, কিন্তু সেখানে লেখা হয়েছে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি। তার দুই হাত প্রসারিত ছিল, আকাশের দিকে তোলা নয়। এবং এটি যে একটি পুলিশি হত্যাকাণ্ড, সেটিও গোপন করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রনেতা আরমান হোসেন বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা ভুল তথ্য আমরা বরদাশত করব না। ইতিহাসকে বিকৃত করা যাবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘স্মারকটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং উদ্বোধনের আগপর্যন্ত এটি ঢাকা ছিল। আমরা আগে দেখে উঠতে পারিনি। ভুল তথ্যের কারণে শিক্ষার্থীরা তা গ্রহণ করেনি। আমরা সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’

শহীদ আবু সাঈদের ঘনিষ্ঠজন ও সহপাঠীরা বলেন, তার শাহাদাত বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে যথাযথ তথ্যসহ স্মরণচিহ্ন স্থাপন করা হোক—এটাই তাদের দাবি।

মন্তব্য করুন


Link copied