নিউজ ডেস্ক: খেলা ছেড়ে তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে ছিলেন। বাংলাদেশ দলের ভাল-মন্দ সবই তার জানা। ঘরের মাঠে নিজেদের উপযোগী পিচে খেললে কি হবে না হবে- তা খুব ভাল বোঝেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
তাই জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক, সাবেক টিম ডিরেক্টর মনে করেন বাংলাদেশ সারা বছর ফ্ল্যাট উইকেটে টি-টোয়েন্টি খেলার অভ্যাস করা উচিৎ। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশে স্লো ও লো এবং টার্নিং পিচে টি-টোয়েন্টি হয় না। তাই শেরে বাংলায় যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেটাকে মোটেই আদর্শ উইকেট মনে করেন না সুজন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সাথে আলাপে বিসিবির সাবেক এ পরিচালক জানান, এমন উইকেটে খেলার কোনোই পজিটিভ ইমপ্যাক্ট নেই। নিশ্চয়ই মনে আছে, আমরা ২০২১ সালে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া আর পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মিরপুরের শেরে বাংলায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে জিতেছিলাম। কিন্তু এরপর বিশ্বকাপে গিয়ে যাচ্ছেতাই বাজে পারফরম্যান্স করেছি। মানে ওই দুই সাফল্য কোনোই কাজে আসেনি। আমরা আসল জায়গা গিয়ে ভাল করিনি।
সুজন যোগ করেন, ‘আমাদের ছেলেদের স্কিল ভাল। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপই শেষ কথা। সেখানে আমাদের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই খেলতে হবে। সেখানে ২০০ রান করা এবং ২০০ চেজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সে জন্য ফ্ল্যাট ও ব্যাটিং উইকেটে খেলাই শ্রেয়।’
সুজন মনে করেন, হোম সিরিজের অ্যাডভান্টেজ সবাই নেয়। বিশেষ করে টেস্টে। অনেক দেশ ওয়ানডেতেও নিজেদের উপযোগী উইকেটে খেলে। সেটা ঠিক আছে। ওয়ানডেতেও চলনসই; কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হোম অ্যাডভান্টেজ না নেয়াই ভাল। সেটা উপকারের বদলে ‘বুমেরাং’ হয়।
সুজনের শেষ কথা, আমরা যত ফ্ল্যাট ও ব্যাটিং উইকেটে খেলতে পারেবো ততই বাইরে গিয়ে ভাল খেলবো। জিতবো। তাতেই মঙ্গল। শ্রীলঙ্কায় ভাল উইকেটে জিতেছি, আমরা সবাই খুশি। আপনি ভাল খেলে জিতেছেন। সব দল টেস্ট ও ওয়ানডেতে হয়ত হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়। তবে আমার মনে হয় না কেউই টি-টোয়েন্টিতে হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়।’
সুজনের প্রশ্ন, ‘তাহলে আমরা নেব কেন? টি-টোয়েন্টিতো আর টেস্ট সিরিজ নয়। এখানে বিশ্বকাপই মূল ক্ষেত্র। সেখানে যে দেশেই খেলা হোক পিচ থাকে শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। তাই আমাদের স্লো ও লো ট্র্যাক বাদ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে খেলা উচিত।’