নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিকভাবে এই ধরনের সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। এগুলো হতে পারে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের লক্ষণ। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই নিয়ম কিন্তু কেবল বড়দের জন্যই প্রযোজ্য নয়, কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন সে সব কিশোর-কিশোরী রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমায়, তাদের মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাকিদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর জন্য দায়ী রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আনগোনা। এই অভ্যাস কিন্তু বড়দেরও রয়েছে। এই রোগ খুব বেশি পরিচিত নয়।
কী এই রোগ–উপসর্গই বা কী?
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাথাঘোরা, ক্লান্তি? প্রাথমিকভাবে এই ধরনের সমস্যাগুলো অনেকেই গুরুত্ব দেন না। এই ধরনের সমস্যা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্নায়ুর এক ধরনের জটিল রোগ। যে কোনো বয়সের মানুষের এই ধরনের রোগ হতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে কমবয়সীদের রাত জাগার কারণে তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষকদের মতে, জিনগত কারণেও মানুষের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়া, ধূমপান ও স্থূলতার প্রভাবেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস একটি অটোইমিউন ডিজিজ। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কডের ওপর প্রভাব পড়ে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের ক্ষেত্রে সবার আগে মায়েলিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মায়েলিন হচ্ছে মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কডের স্নায়ু ফাইবারকে সুরক্ষা প্রদানকারী আবরণ।
মায়েলিন ছাড়া মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জু শরীরের অন্যান্য স্নায়ুর সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে । যদিও মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের উপসর্গগুলো এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়, তবু সাধারণত যে উপসর্গগুলো অধিকাংশ এমএস আক্রান্তদের মধ্যেই দেখা যায়, সেগুলো হলো–lদৃষ্টিশক্তির সমস্যা; হাত-পায়ে অসাড় ভাব lঅবসাদ ও দুশ্চিন্তা lমাথাব্যথা; মাথা ঘোরানো; পেশিতে টান; শ্বাসকষ্ট। কিছু ভাবা বা চিন্তা করার ক্ষেত্রে সমস্যা lকথা বলতে সমস্যা
lযৌন সমস্যা।