নিউজ ডেস্ক: ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নারওয়ালকে খুনের ঘটনায় তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে রাজ্যটির পুলিশ। দিন দুয়েক আগে একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরই তদন্তে নেমে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
জানা গেছে, গত শুক্রবার হরিয়ানা রাজ্যের রোহতকের সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাইওয়ের পাশ থেকে একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার দু'দিন পরে অবশেষে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হলো।
পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত যুবকের সঙ্গে হিমানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হিমানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ওই যুবককে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েক লাখ রুপি হাতিয়ে নেওয়ার। সেই রাগেই ওই কংগ্রেস নেত্রীকে খুন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, যে ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার হয়, সেটি কংগ্রেস নেত্রীর বাড়ি থেকেই নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। এই সূত্রেই তদন্তকারীদের অনুমান, হিমানীকে তার নিজের বাড়িতেই খুন করা হয়েছে।
হিমানীর মা বলেছেন, আমি নিশ্চিত অভিযুক্ত পরিচিত কেউ। হয় দলের (কংগ্রেস) কেউ, অথবা আত্মীয়। হিমানীর বন্ধুও কেউ হতে পারেন। কারণ তারাই বাড়িতে আসতে পারেন। আমি নিশ্চিত কেউ আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল। তাই মেয়ে প্রতিবাদ করে। আর সেই কারণেই এই ঘটনা।
অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন হিমানীর মা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার আগে হিমানীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তার হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গলায় স্কার্ফ জড়ানো ছিল হিমানীর। এটা থেকে পুলিশের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তাকে।
উল্লেখ্য, হিমানী নারওয়াল হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী। রাজ্যটিতে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গী ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র এবং তার ছেলে দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওই তরুণী।