আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত শাহ’র জরুরি বৈঠক

বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, রাত ০১:৪০

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশটির সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও ফেডারেল সরকার শাসিত লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নররা যোগ দিয়েছিলেন।

তবে এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদে একের পর এক বৈঠকের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার অংশ’ হিসেবে ‘প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের চালানো একাধিক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকের পর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যাতে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ’ নেওয়া হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন।

এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যু এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে- যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে এবং যে কোনো উপায়ে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে যথাযথভাবে প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি প্রাণঘাতী হামলার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। সে ঘটনায় ২০ জনের বেশি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক।

ইসলামাবাদ বারবার এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঘটনার পর থেকে উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় বিবৃতি দিচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সর্বাত্মক সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য করুন


Link copied