আর্কাইভ  সোমবার ● ১২ মে ২০২৫ ● ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ১২ মে ২০২৫
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

যুদ্ধের দামামা
বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

নীলফামারীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩, বিকাল ০৭:৪৮

Advertisement

বিশেষ প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম কাঞ্চন সরকার(৩৪)। এ ঘটনায় ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসক মো. হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন রোগীর ভাই চন্দন কুমার সরকার। 
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর বড় ভাই কাঞ্চন সরকার কোমরে আঘাত পেলে ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসক মো. হারুন অর রশিদ এর শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক হারুনের ভুল চিকিৎসায় কাঞ্চন সরকারের কোমরে ক্ষতের সংক্রমণ হয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রথমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কাঞ্চন সরকারের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান কাঞ্চন সরকার। 
কাঞ্চন সরকারের ছোট ভাই চন্দন কুমার সরকার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানান, আমার ভাই মৃত কাঞ্চন সরকার কোমড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ক্ষত হয়। শহরের গালস স্কুল সংলগ্ন ফিজিওথেরাপিস্ট ডাক্তার হারুন অর রশিদ এর কাছে নিয়ে যায়। তিনি শুরুতেই বলেন, আমি আপনার ভাইকে ওষুধ আর ইনজেকশন দিবো পুরোপুরি ভাল হয়ে যাবে। কিন্তু আমার কাছে চিকিৎসা করার পর অন্য কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না। আমি আমার ভাইয়ের চিকিৎসা হারুন অর রশিদের কথামত শুরু করি। দীর্ঘ এক মাস তার চিকিৎসার পর আমার ভাইয়ের শারিরিক কোনো উন্নতি না হয়ে বরং অবনতির দিকে যেতে থাকে। তাই আমি আমার ভাইকে দ্রুত নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. হারুন অর রশিদ চেম্বারে গেলে তিনি সাংবাদিকদের দেখেই তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং কি করার আছে করেন আমি কোনো সাংবাদিকের সাথে কথা বলবো না। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার কয়েকজন ফিজিওথেরাপিস্ট বলেন, ফিজিওথেরাপি হলো ভৌত চিকিৎসা পদ্ধতি। যেখানে বল, তাপ, চাপ, গতি, তরঙ্গ, শক্তি, পানি, শৈত্য, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিভিন্ন ভৌত উপাদান ও পদ্ধতি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর এ্যালোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন হলো এ্যালোপ্যাথিক ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তাই আমরা যারা ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছি জিওথেরাপিস্ট রিলেটেড ওষুধ লিখতে পারবো। 
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল ওডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপিস্টগণ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন না। ২০১৮ সালের বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) ডিগ্রীধারীগণ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখছেন। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নিবো। 
নীলফামালী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied