স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার(৪ জানুয়ারী) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সদর উপজেলা ইপিআই মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
সভার প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখা) সাবিনা আলম। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এনসিডিসি প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মতিউর রহমান ভুঁইয়া।
এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন এনসিডিসি প্রকল্পের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম, বেসরকারি সংস্থা আয়াত এডুকেশনের পরিচালক লায়লা করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তবিবুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকছেদুল মোমিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী, সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বী প্রধান প্রমুখ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এনসিডিসি প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে শতকরা ১৫ভাগ মানুষ হঠাৎ মারা যান বাকি ৮৫ ভাগ মানুষ নন-কমনিক্যাবল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন। রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হতাশ হয়ে পড়েন। পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব কিংবা সাহস শক্তি এমনকি মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ালে তারা স্বাভাবিক হয়ে থাকতে পারেন এবং হতাশা গ্রস্ত হন না। এমনকি দৃঢ় মনোবল নিয়ে বাঁচতে পারেন। এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব সাবিনা আলম প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সভার প্রথম জেলা হিসেবে নীলফামারীকে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ঠরা ছাড়াও সমাজের সব স্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের মাধ্যমে অসুস্থ্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এজন্য সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক তৈরি, মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং এ ধারণা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেছি আমরা।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, সেবিকা, গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।