আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫ ● ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫

বিয়ে ও প্রেমে কেন অনীহা অনেক তরুণ-তরুণীর

শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১, দুপুর ১০:৪৭

Ad

ডেস্ক: শীত মানেই উৎসব, শীত মানেই প্রেম, শীত মানেই বিয়ের মৌসুম। কেউ কেউ দাবী করেন, ডিসেম্বর প্রেমের মাস। কিন্তু এত এত ভালোলাগা, ভালোবাসার হাতছানির মাঝেও কেউ কেউ দিব্যি একা থাকছেন, তাও আবার খুব স্বাচ্ছন্দ্যে, সহজে, অনায়াসে। কিন্তু কেন এমনটা করছেন তারা, আটদশজন থেকে কেনইবা তারা আলাদা কিংবা কীভাবেইবা তারা পারছেন জীবনের বসন্ত সময়টুকুতে একা থাকতে। জেনে নেওয়া যাক সে রহস্য। 

পরিচিতজন, বন্ধুদের গায়ে হলুদ-বিয়ের ছবিতে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম যখন সয়লাব তখন কেউ কেউ আছেন শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করতে ভয় পান। শুধু বিয়ে বললে ভুল হবে, প্রেম-ভালোবাসা নিয়েও তাদের আছে অনীহা। সম্পর্কের প্রতি উদাসীন তারা, একা থাকাটাই ভীষণ পছন্দের। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘গ্যামোফোবিয়া’ বলা হয় অর্থাৎ প্রতিশ্রুতিতে ভীতি। 

কেন এমন মানসিক অবস্থা হয়?
সাধারণত এই মানসিক অবস্থা নির্ভর করে পরিবেশ, পরিস্থিতি ও মানসিকতার বিকাশের ওপর। এ ছাড়াও সম্পর্ক নিয়ে পূর্বের খারাপ অভিজ্ঞতা বা মা-বাবা কিংবা ভাইবোন, কাছের বন্ধুদের, সহকর্মীদের বৈবাহিক অশান্তিও মনে এই ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে। 

গ্যামোফোবিয়া আক্রান্তদের মনে সবসময়ই বিবাহিত জীবন নিয়ে ভয় কাজ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের মানুষ মনে করেন নতুন সম্পর্ক বা সাংসারিক জীবনে শুরু হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে, প্রতারনার শিকারও হতে পারেন। পাশাপাশি তারা এটাও ভাবেন সাংসারিক জীবনে তারা মানিয়ে চলতে অক্ষম। আর এই আকাশ-পাতাল অযৌক্তিক ভাবনায় তারা সম্পর্ক শুরুর আগেই ধরে নেন যে, প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা মনে করে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। 

কী  কী লক্ষণ থাকলে বুঝবেন এই সমস্যায় ভুগছেন

সাধারণত সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসীনতা।
এ বিষয়ে কথা এড়িয়ে যাওয়া।
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনা অপছন্দ করা।
এই ধরনের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া।
বিয়ের লৌকিকতাকে অপছন্দ করা।
সিদ্ধান্তহীনতাও গ্যামোফোবিয়ার একটি লক্ষণ।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সমস্যা মনে বাসা বাঁধছে বুঝতে পারলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি এক্ষেত্রে সেলফ হেল্পও অন্যতম পথ। একা থাকা নয় বরং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানিরারা।

মন্তব্য করুন


Link copied